শহীদনুর আহমেদ :: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের পাগলা বীরগাঁও সড়কের দেড়‘শ মিটার রাস্তার জন্যে দুর্ভোগের শেষ নেই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষের। মূল সড়ক থেকে নিচু ও পাকাকরণ না হওয়ায় সৃষ্ট কর্দমাক্ত, খানাখন্দ আর বর্ষায় একটু পানি বেড়ে গেলেই তলিয়ে যায় সড়কটি।  পাগলা থেকে বীরগাঁও গ্রামের ভেতর পর্যন্ত পাকা রাস্তা থাকলেও সড়কের মধ্যবর্তী এই অল্প রাস্তার জন্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামতে দাবি উঠে আসলেও কর্ণপাত করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আশু সমাধান দাবি করেছেন স্থানীয়রা।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের পাগলা বীরগাঁও সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন ইউনিয়নের বীরগাঁও, হাঁসকুঁড়ি, ধৈলমনশা, খরেরগাঁও, ব্রাহ্মণগাঁও, সাদেরখালী, সলফ, ধরমপুরসহ পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। একমাত্র এই সড়ক দিয়েই বীরগাঁও বাজার, পাগলা বাজারসহ জেলা শহর, বিভাগীয় শহর সিলেটে যাতায়াত করেন তারা।  বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, বীরগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা, বীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালসহ পাগলা কলেজসহ জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন ইউনিয়নের শত শত শিক্ষার্থী। চলতি বর্ষায় সড়কটি পূর্বহাটি নামক স্থানের কাচা রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিরম্ভনায় পড়েছেন পথচারীরা। নৌকা ব্যতিত যাতায়াতের বিকল্প উপায় না থাকায় পানিতে কাপড় উঠিয়ে বা ভিজে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। বেশি সমস্যা হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী মেয়ে শিক্ষার্থী, শিশু ও মহিলাদের। 

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির চলমান দুর্ভোগের চিত্র। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পাগলা থেকে বীরগাঁও ব্রীজ পর্যন্ত বিটুমিনের পাকা সড়ক রয়েছে। গ্রামের ভেতরেও আরসিসি ঢালাই দেয়া সড়ক রয়েছে। কেবলমাত্র এই একদেড়‘শ মিটার সড়কের জন্যে তাদের এতো ভোগান্তি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে মাটি ফেলে উঁচু করা পাকাকরণের দাবি করে আসলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদাসীনতায় কাজের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। আগামী  শুষ্ক মৌশুমে রাস্তাটিতে মাটি ফেলে পাকা করণের দাবি জানান তারা। স্থানীয় বাসিন্দা মিছকন আলী বলেন, মাত্র একদেড়‘শ রাস্তার জন্যে মানুষের কষ্টের শেষ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ দেখেও না দেখার বান করছেন। ভোটের সময় ভোট ভিক্ষা চান আর কাজের সময় তাদের পাত্তাই পাওয়া যায় না। বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আজি মিয়া বলেন, আমিসহ বিদ্যালয়ের পাঁচ জন শিক্ষক প্রতিদিন সুনামগঞ্জ থেকে আসি। এই একটু খানি রাস্তার দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকবাসী দুর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি উঁচু করে পাকা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।  এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, রাস্তাটির দুর্ভোগের কথা আমার জানা। সাময়িকভাবে পথচারীদের চলাচলের সুবির্ধাতে পরিকল্পনা মন্ত্রী কিছু বরাদ্দ দিয়েছিলেন কংক্রীট ফেলার জন্যে। আগামীতে বীরগাঁও থেকে বীরগাঁও বাজার পর্যন্ত রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। যা মন্ত্রী মহোদ্বয়ের নজরে আছে। আশা করছি এলাকবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn