দোয়ারাবাজার ::  দোয়ারাবাজারে ব্যাংক অফিসারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অগ্রণী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র।  এ ঘটনায় ওই শাখায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় সেবাগ্রহিতারা। এ নিয়ে সেবাগ্রহিতাসহ সর্বমহলে বিব্রতকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৬ আগস্ট ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অগ্রণী ব্যাংকের দোয়ারাবাজার শাখা থেকে ৩টি চেকে মোট সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারকচক্র। এর আগে গত ১৬ আগস্ট ভুয়া কাগজপত্র ও ভুয়া তথ্য দিয়ে ৩ হাজার টাকা প্রাথমিক জমা রেখে মো. ফারুক মিয়া নামে একটি হিসাব খোলা হয় শাখায়। তার পিতা- কাদির মোল্লা, মাতা- মোছা. মেহেরজান, গ্রাম- ভবানীপুর, ইউনিয়ন- দোহালিয়া, উপজেলা- দোয়ারাবাজার, জেলা- সুনামগঞ্জ। ওই হিসাবের নমিনি দেয়া হয় ভাই পরিচয়ে মো. আরিফ মিয়া নামে তার এক সহযোগীকে। কিন্তু বাধ্যতামূলক হলেও এনআইডি ভেরিফিকেশন ছাড়াই খোলা হয়েছে ওই হিসাব। পরদিন ১৭ আগস্ট ঢাকার সাভার থেকে ওই হিসাবে অনলাইনে জমা হয় আরও ১০ হাজার টাকা। ২৪ আগস্ট চেকবই উত্তোলন করে ওই দিনই জমা হওয়া ১৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে ওই চক্রটি। দু’দিন পর ২৬ আগস্ট ওই হিসাব (নম্বর ০২০০১৫৬৬৮৯৬৯) থেকে পর পর তিনটি চেকে মোট সাড়ে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। বাধ্যতামূলক হলেও কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই ছাড়াই একই সময়ে পরপর তিনটি চেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অগ্রণী ব্যাংক দোয়ারাবাজার শাখার দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। এ ঘটনায় বুধবার বিকালে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের অঞ্চল প্রধান মো. আশিক এলাহি সরেজমিনে ব্যাংকের ওই শাখা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক, দোয়ারাবাজার শাখা ব্যাবস্থাপক মো. জিয়াউল ইসলাম জানান, ‘১৬ আগস্ট আমি ছুটিতে ছিলাম। আমার অনুপস্থিতে ওইদিন আলোচিত হিসাবটি খোলা হয়। বুধবার ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা অডিটোরিয়ামে ছিলাম আমি। ওই ফাঁকে প্রতারকচক্র ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn