দোয়ারাবাজার:: দোয়ারাবাবাজার সদর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর নামের তালিকায় এক ইউপি সদস্যসহ তার পরিবারের ১২ জনের নাম রয়েছে। ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চালের কার্ড পাওয়ার কথা হতদরিদ্রদের। অথচ ৯নং ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিনসহ তার পরিবারের ১২ জন সদস্য গত চার বছর ধরে সুবিধা ভোগ করায় ইউনিয়নবাসী ফুঁসে উঠেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা যায়, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের ২৪টি গ্রামে ২০১৬ সাল থেকে দুইজন ডিলারের মাধ্যমে ৭৭৪ জন দরিদ্র মানুষ ১০ টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছেন। ডিলারের তালিকায় দেখা গেছে, রায়নগর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ বক্সের পুত্র ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন, তার বড় ভাই নুরুল আমিন, নুরুল আমিনের দুই স্ত্রী জোrস্না বেগম ও খতিবুন নেছা, তার ছেলে আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারের স্ত্রী মো. সুজেনা বেগম, তার ভাই কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী রুজিনা খাতুন, তার বড়ভাই ওমান প্রবাসী ফয়জুল আমিন, ফয়জুল আমিনের স্ত্রী দিপালি বেগম, তার আরেক ভাই সামছুল হকের দুই স্ত্রী আছিয়া বেগম ও আবেদা খাতুনের নাম রয়েছে।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন বলেন, ‘ওই তালিকায় আমার কোনো হাত নেই। ওই সময় আমার নির্বাচন ছিল। আমার পরিবারের নামগুলো কৃষি অফিসের একজন কর্মকর্তা তালিকায় ঢুকিয়েছেন। সাবেক উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবুল কালামকে ২ হাজার টাকা দিলেও নামগুলো কাটেননি তিনি। এসব তালিকার চাল আমরা কখনো নেইনি।’ জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, ‘ওই তালিকা থেকে ধনী ও মৃত ব্যক্তিদের নাম কর্তন করতে খাদ্য অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে দায়িত্ব পাওয়ার আগেই তা বিলীন হয়ে যায়।’ এ প্রসঙ্গে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিম হায়দার বলেন, ‘আমার জানা মতে প্রতিমাসেই সংশ্লিষ্ট ডিলার তালিকার পুরো চাল উত্তোলন করেন। আগামি মাসে মিটিং করে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা  নেয়া হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn