দোয়ারাবাজার  :: দোয়ারাবাজারে সরকারি রাস্তার ইট নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়াসহ রাস্তার ঢালাইকাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজের প্রস্তুতি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে মাছিমপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কের কাঁচা অংশে ঢালাইকাজ শুরুর প্রারম্ভেই স্থানীয় ইউপি সদস্য গেদু মিয়া রাতের আঁধারে শ্রমিক দিয়ে ওই সড়কের ইট সলিংয়ের প্রায় ৩ হাজার ইট উঠিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে রবিবার বিকেলে উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে সরকারি রাস্তার ইট পূণরায় রাস্তায় ফেলার নির্দেশ দেয়া হয় ওই ইউপি সদস্যকে। উপজেলা সদরের পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের ফকির আলী বলেন, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া রাতের আঁধারে রাস্তার সলিংয়ের ইট উঠিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে উল্টো ধমক দিয়ে বলেন, এই কাজের কন্ট্রাক্ট আমি পেয়েছি। স্থানীয়রা আরও জানান, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া উপজেলা সদরের বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিকটবর্তী খাদ্যগুদাম সড়কের সুরমা নদীর ভাঙনরোধে ব্লক ও পাকাকরণে নিম্নমানের কাজ করায় অল্পদিনেই তা ভেঙে দেবে গেছে। অথচ ওই কাজের শুরুতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ফলে কিছুদিন পর আবারও রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এখন আবার তিনি একই সড়কের খাদ্যগুদাম সংলগ্ন মাছিমপুর গ্রামের সড়কের কাঁচা অংশের ঢালাই কাজের শুরুতেই ইট সলিংয়ের সরকারি ইট তুলে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য গেদু মিয়া বলেন, রাস্তার কিছু ইট বাড়িতে নিয়েছিলাম সত্যি। তবে এলজিইডি অফিস থেকে ওই ইট এনে পুণরায় রাস্তায় ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই আমি ওই ইট এনে রাস্তায় দিয়ে দেবো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া রাস্তার ইট সলিংয়ের কিছু ইট উঠিয়ে তার নিজ বাড়িতে নেন বলে স্বীকার করলে অতিসত্বর সরকারি রাস্তার ইট রাস্তায় এনে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি তাকে। নতুবা রাস্তার ঢালাইকাজের কোনো বিল দেওয়া হবে না বলে তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি। তিনি (ওই ইউপি সদস্য) সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে খাদ্যগুদাম-মাছিমপুর গ্রামের রাস্তার কাঁচা অংশের পাকাকরণ কাজ করছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn