দোয়ারাবাজার::  দোয়ারাবাজারে দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপফান্ডসহ বিভিন্ন কাজে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু দায়সারা জবাব ছাড়া কাজের সঠিক মূল্যায়ন দেখাতে পারেননি প্রতিষ্ঠান প্রধানগন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের রকতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডে (স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান) ৭০ হাজার টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। ব্যয় বিবরণীতে দেখা গেছে বৃক্ষরোপন বাবদ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ স্কুলটির সামনে রয়েছে একটিমাত্র গাছের চারা। বায়োমেট্রিক হাজিরায় বিল দেখানো হয়েছে ১০হাজার টাকা। বিদ্যুৎবিহীন ওই বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয় না করেই বিলও জমা দেয়া হয়েছে। শহীদ মিনার নির্মাণে ২৫ হাজার টাকার বিল দেখানো হয়েছে, তাও অতিরিক্ত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ক্ষুদ্র সংস্কারকাজে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া সত্ত্বেও ৫ম শ্রেণীর জন্য ৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ঢেউটিনের চালা মেরামত করা হয়েছে । প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা, ওয়াশ ব্লকে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও খরচের সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাহেনা বেগম।

অন্যদিকে, একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া বিল ভাউচারের সাথে কাজের কোনো মিল নেই। ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এছাড়া প্রতিবছর একই উপকরণ দেখিয়ে অথবা নিজেদের বানানো মনগড়া ক্রয়ভাউচার দেখিয়ে বরকত নগর ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে স্লিপ ফান্ডসহ অন্যান্য ফান্ডের টাকা আত্মসাতের মহোৎসব। চলতি অর্থবছরসহ গত দুই-তিন বছরের পিইডিপি-৩ এর আওতার স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, তারা প্রতিবছরই চাহিদামতো বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করেন এবং আগের উপকরণ নষ্ট হলে তা পরিত্যক্ত করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি পরিত্যক্ত উপকরণগুলো। জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন কুমার সানা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn