লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সমিতির পক্ষ থেকে ১৪২২ বঙ্গাব্দের ইজারা মূল্য পরিশোধ করলেও সাংসদ মোয়াজ্জেম, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল ও তাঁর ভাই মোবারকের সহায়তায় তাঁদের লাঠিয়াল বাহিনী জলমহালটি থেকে মাছ ধরে নেয়। সমিতির পক্ষে ১৪২৩ বঙ্গাব্দের খাজনা পরিশোধ করলে সাংসদসহ তাঁদের তিন ভাই জলমহালে মাছ ধরতে দেবেন না বলে সমিতির সদস্যদের হুমকি দেন। এ নিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করলেও লাভ হয়নি। চন্দন বর্মণের কাছে প্রতিবছর জলমহালটির ফিশিং বাবদ সাংসদ ১০ লাখ টাকা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে লভ্যাংশের ৬ আনা দিতে বললে তিনি (চন্দন) রাজি হন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল ও তাঁর আরও দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ওই ৬৩ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সুনই জলমহালের খলাঘরে ঢোকেন। এ সময় মোজাম্মেলের নির্দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সমিতির সদস্যসহ সেখানে থাকা নারী-পুরুষদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। তাঁরা সমিতির একটি খলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেন ও ১০-১৫ মণ জাল আগুনে দেন। এ সময় বাধা দিলে তাঁরা সমিতির সদস্য শ্যামাচরণকে গলা কেটে হত্যা করেন।