উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনই জলমহালটি জেলা প্রশাসনের অধীন। বার্ষিক প্রায় ২৫ লাখ টাকা করে ছয় (বাংলা ১৪২২ থেকে ১৪২৭ সাল) বছরের জন্য এটি ইজারা পায় সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির সভাপতি চন্দন ইজারা মূল্য পরিশোধ করেন ও জলমহালটির পাড়ে বসবাসসহ অন্যান্য কাজের জন্য পাঁচটি ঘর তুলে তা রক্ষণাবেক্ষণ করেন। একই সমিতির সভাপতি দাবি করে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেলের অনুসারী সুবল বর্মণ (৩০) তিন মাস আগে ১৫-২০ জন লোক নিয়ে জলমহালটির পাড়ে দুটি ঘর তৈরি করেন এবং ১৪২৭ সালের জন্য এর ইজারা মূল্য পরিশোধ করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তবে জলমহালটি নিয়ে উচ্চ আদালতে সমিতির দুটি মামলা থাকায় আদালতের নির্দেশে জলমহালটিতে স্থিতাবস্থা রয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সমিতির পক্ষ থেকে ১৪২২ বঙ্গাব্দের ইজারা মূল্য পরিশোধ করলেও সাংসদ মোয়াজ্জেম, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল ও তাঁর ভাই মোবারকের সহায়তায় তাঁদের লাঠিয়াল বাহিনী জলমহালটি থেকে মাছ ধরে নেয়। সমিতির পক্ষে ১৪২৩ বঙ্গাব্দের খাজনা পরিশোধ করলে সাংসদসহ তাঁদের তিন ভাই জলমহালে মাছ ধরতে দেবেন না বলে সমিতির সদস্যদের হুমকি দেন। এ নিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করলেও লাভ হয়নি। চন্দন বর্মণের কাছে প্রতিবছর জলমহালটির ফিশিং বাবদ সাংসদ ১০ লাখ টাকা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে লভ্যাংশের ৬ আনা দিতে বললে তিনি (চন্দন) রাজি হন।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল ও তাঁর আরও দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ওই ৬৩ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সুনই জলমহালের খলাঘরে ঢোকেন। এ সময় মোজাম্মেলের নির্দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সমিতির সদস্যসহ সেখানে থাকা নারী-পুরুষদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। তাঁরা সমিতির একটি খলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেন ও ১০-১৫ মণ জাল আগুনে দেন। এ সময় বাধা দিলে তাঁরা সমিতির সদস্য শ্যামাচরণকে গলা কেটে হত্যা করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn