ধর্মপাশায় আমানুর রাজা চৌধুরী নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ’র চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমানুর রাজা চৌধুরী উপজেলার সুখাইড় রাজপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। শনিবার (১৩ মে) চাল বিতরণের সময় ৩৮ কেজি চালের পরিবর্তে ২৮ থেকে ৩৪ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। এসময় ত্রাণের চাল ও নগদ টাকা বিতরণে তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইমাঈল হোসেন ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী ওইদিন বিকেলে ঘটনার সতত্যা যাচাইয়ের জন্য সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়- এ ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৭২৬টি ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ পরিবারের প্রত্যেকের মধ্যে ৩৮ কেজি করে চাল ও ৫শ’ টাকা করে বিতরণের জন্য ৬৫ টন ৫৮৮ কেজি চাল ও নগদ আট লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। গত বুধবার থেকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুর দুইটা থেকে চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ শুরু হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরীর উপস্থিতিতে ৩৮ কেজি চালের পরিবর্তে ২৮ থেকে ৩৪ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি আজিজ উদ্দিন বলেন- “চাল বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। কাউকেই ৩৮ কেজি চার দেওয়া হয়নি। ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।” একই কথা জানালেন- রাজাপুর গ্রামের নাদিম মিয়া ও রেজাউল মিয়া।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসকে হায়াত বলেন- “ত্রাণের চাল ও নগদ টাকা বিতরণের সময় তদারকি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের অনুপস্থিতে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন কি না তা আমি জানি না।” এ ব্যাপারে কথা বলতে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ইউএনও মো. মামুন খন্দকার বলেন- “খবর শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। দু-একজনের চাল মেপে দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের ৩৬ কেজি, একজনের ৩৮ কেজি ও আরেকজনের ৪০ কেজি পাওয়া গেছে।”

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn