হাওরাঞ্চলে ফসলডুবির ঘটনা বাস্তুসংস্থান থেকে শুরু করে মানুষের কর্মসংস্থান, জীবিকা ও জীববৈচিত্রে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছ। ধর্মপাশা উপজেলার হাওরপাড়ের মানুষজন ফসল হারিয়ে কাজের সন্ধানে দিক্বিদিক হারিয়ে ছুটছেন গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে। পরিবারের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা ফেলে তাদের সাথে যাচ্ছে। ফলে হাওরপাড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- এ উপজেলায় ৯৮টি সরকারি, ৯১টি নবঘোষিত সরকারি ও ১৫শ’ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ৪টিসহ মোট ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসকল বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৫৬ জন।

গত ২৩ এপ্রিল থেকে উপজেলার সবক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। হাওরে ফসলডুবির পর থেকে ধর্মপাশা উপজেলার হাওরপাড়ের দরিদ্র মানুষজন কাজের সন্ধ্যানে এলাকা  ছাড়তে শুরু করায় তাদের সাথে ওই সকল পরিবারের শিক্ষার্থীরাও এলাকা ছেড়েছে। ফলে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া আক্তার খাতুন বলেন- “হাওরে ফসলডুবির ঘটনায় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি বেড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই তার পরিবারের সাথে এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে শহরমুখি হয়েছে। এ উপজেলায় প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। দ্বিতীয় ও বার্ষিক পরীক্ষার ফি মওকুফ, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ ও উপবৃত্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হাজিরা শীতিল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn