মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর খাল থেকে গত সোমবার সকালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন হানিফ পরিবহনের বাসচালক জালাল, সুপারভাইজার ফয়সাল ও বাসচালকের সহকারী সুপারভাইজার জনি। পরে তাদের মুখ থেকে জানা গেছে হত্যার ভয়ঙ্কর কাহিনী। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশীদ জানান, পায়েলের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুপারভাইজার ফয়সালকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।  কোর্ট ইন্সপেক্টর হেদায়তুল ইসলাম জানান, আসামি ফয়সালকে মুন্সীগঞ্জের ৫ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ফয়সাল বলেন, রাতে বাস যানজটে পড়লে বাসযাত্রী পায়েল প্রস্রাব করতে নিচে নামেন। যাত্রীবাহী বাস দ্রুত টান দিলে পায়েল বাসের দরজার সঙ্গে জোরে ধাক্কা খান। ফলে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তিনি গুরুতর অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন বাসের চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার মনে করেন পায়েল মারা গেছে। তারপর তাকে ফেলেই তারা বাস চালিয়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে আসেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই গ্রামের বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পথে রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় গিয়ে জ্যামে পড়ে বাসটি। সে সময় বাস থেকে প্রস্রাব করার জন্য নিচে নামেন পায়েল। এরপর থেকে পায়েলকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ২৩ জুলাই তার লাশ মেলে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn