৩০ কিংবা ৪০ এর বেশি নারীদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ ফেসবুকে আকর্ষণীয় দৈহিক গঠনের ছবিগুলো দেখে এই বয়সের নারীরা নিজের প্রতি অসন্তুষ্টিতে ভুগতে পারেন। তাই তাদের এসব ছবি দেখে বেশি চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ইউনিভার্সিটি অফ অকল্যান্ডের করা নতুন এক গবেষণা অনুযায়ী, ফেসবুক ব্যবহারের পর ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের নিজেদের দৈহিক গঠন নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। নারী ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে, প্রায় ৩০ বছর বয়সে তাদের শারীরিক গঠন বিষয়ক সন্তুষ্টির মাত্রা কমতে শুরু করে। তবে বয়স বাড়ার পাশাপাশি, যেমন ৫০ এর কোঠায় গিয়ে তা আবার জেগে ওঠে। যেসব নারী ফেসবুক ব্যবহার করেন না, গড় হিসেবে তাদের শারীরিক গঠন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা বেশি।

গবেষকদের প্রধান সামান্থা স্ট্রোঞ্জ জানিয়েছেন, ‘আগের গবেষণাগুলো থেকে আমারা জানি- মিডিয়ার কারণে সাধারণত মহিলাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে খারাপ লাগতে পারে। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, এই গবেষণায় আমরা দেখতে পাই যে ওই ফলাফলগুলোই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে তারা হলেন নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারী মহিলা। ‘ গবেষণার ১১ হাজার অংশগ্রহণকারীর ৬২.৫ শতাংশ নারী আর ৩৭.৫ শতাংশ পুরুষ। আর বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি, গড় বয়স ৪৯.২৩ বছর। ফেসবুক ব্যবহারকারী ও অব্যবহারকারী উভয়কেই এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নারীদের মধ্যে ৬৯ শতাংশের ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গবেষণার কিছুদিন আগেই ব্যবহার করেছেন। সার্বিকভাবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ফেসবুক বেশি ব্যবহার করেন।

গবেষণায় দেখা যায়, অন্যান্য দলের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মহিলা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিজের শরীরের প্রতি সন্তুষ্টির মাত্রা সবচেয়ে কম। এরমধ্যে ৩৮ বছর বয়সী নিজেদের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট। সার্বিকভাবে পুরুষদের মধ্যে শারীরিক গঠন সম্পর্কে সন্তুষ্টির মাত্রা মহিলাদের চেয়ে বেশি। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারী পুরুষদের মধ্যে নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন পুরুষদের তুলনায় কম। স্ট্রোঞ্জ ব্যাখ্যা করেন, ‘মহিলাদের মতোই, ফেসবুক ব্যবহারকারী পুরুষদেরও নিজেদের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, নারী-পুরুষ উভয়ের উপরেই নারীত্ব এবং পুরুষত্বের আদর্শ সংস্করণের প্রভাব একই। ”তরুণীদের ক্ষেত্রে- যাদের বয়স ১৮ এর মধ্যে, ফেসবুকের ব্যবহার একটি দৈনন্দিন সাধারণ বিষয়। এর সঙ্গে শারীরিক সন্তুষ্টির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা করা দরকার। ‘ সূত্র: কলকাতা২৪.কম

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn