বার্তা ডেক্সঃঃবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবারো প্রমান করলো যে, আওয়ামী লীগের অধীনে ও দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কখনই সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন যারা পুরোপুরি সরকারের ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তাই এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪-তে একটা নির্বাচন হয়েছে। যেখানে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয় তারা। তখন থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন এই প্রক্রিয়া আরও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরী ধ্বংস হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রগুলিতে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে বিএনপি মনে করেছিল, সরকারি নির্বাচন বাদে স্থানীয় সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হয়তো ভোটাররা ভোট দিতে আসবে। কিন্তু এখানেও তারা ভোট দিতে আসেনি। এটার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার। ৯ টি উপজেলা ৪২ টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার সময় একটা খবর পেয়েছি প্রায় সবগুলো কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছে। যাত্রাবাড়ি ও নওগাঁয় একই কায়দায় নির্বাচন হয়েছে। পাবনা-৪ এ একই চেহেরা লক্ষ্য করা গেছে। যে চেহেরা ছিল ২০১৮-তে। নির্বাচনের আগের দিন রাতেই ব্যালট ভরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফলটা তাদের মত করে তৈরি করে নেয়া আরকি। আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিবসহ নেতাদের পদত্যাগ চেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে ফখরুল বলেন, তিনি তো আমাদের পদত্যাগ চাইবেনই। কারন আমরা যে তাদের পদত্যাগ চেয়েছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা পরিস্কার আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে গনতন্ত্রে বিশ্বাস করলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন ঢাকায় নির্বাচন হলো সেখানে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটারের সংখ্যা যেটা দেখানো হয়েছে সেটা আর কি বলবো।

মজার ব্যাপার হলো প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সেদিন বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এর ওপরে আর কি বক্তব্য থাকতে পারে। এটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। জোর দিয়ে বলতে চাই নির্বাচন কমিশন যদি পরিবর্তন না হয়, নির্বাচনকালীন সরকার যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে যে ভোট ডাকাতি, কারচুপির নির্বাচন হয়েছে প্রথমে জেলা পর্যায়ে পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবো আমরা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দুলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, এ্যাড. জয়নাল আবেদীন, এ্যাড. আশিকুর রহমানসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn