মাহবুব আলম :: কৃষ্ণচূড়ার লাল গেঁথে আছে সবুজের প্রান্তরে। দুলছে বাতাসে। রক্তঝরা বিজয়ের বাণী ক্ষণে ক্ষণে ছড়িয়ে দিতে চাইছে দিগন্তে। লাল-সবুজের পতাকা। রক্তমাখা পতাকা, যেখানে লুকিয়ে আছে বাংলার সবুজ-শ্যামল বিজয় গাঁথার হাজার বছরের রূপকথা। ৪৬ বছর পেরিয়েছে বাংলাদেশ। আবারো এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বিজয়ের আনন্দে আনন্দিত জাতি। আনন্দধারা বইছে ঘরে ঘরে। বইছে গ্রামীণ পথে প্রান্তরে, রাজপথে। বিজয়ের আনন্দ মিলছে আবেগের পতাকায়ও। এমন আবেগ আর ভালোবাসায় পতাকার রঙে মনের রঙ কে না মেলাতে চায়? পতাকা উড়ছে গাড়িতে, উড়ছে বাড়িতেও। শিশুর কোমল হাতে বাংলাদেশের পতাকায় মিলছে বিজয়ের কথা। তাই তো বাঙালির এমন আবেগকে ভর করেই পতাকার পসরা সাজিয়ে চলছে ফেরিওয়ালারা। বলছি, কয়েকজন লাল-সবুজের ফেরিওয়ালার কথা। ছাতক  শহরে ঘুরে বেড়ানো লাল সবুজের ফেরিওয়ালারা জানান, বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে অনেক আনন্দ পান তারা। রাজপথে যখন লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে চলেন, তখন গর্বে তাদের বুক ভরে ওঠে। লাল সবুজ প্রেমী ফেরিওয়ালা সিরাজ মিয়া সিলেট ভিউ টুয়েন্টি ফোর ডটকমকে আরো জানান, ২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মাপের পতাকা বিক্রি করেন তারা। তবে ছোট ছোট পতাকা বিক্রি বেশি হয়। কারণ অনেকেই মোটরসাইকেল, গাড়ি, সিএনজি অটো-রিকশায় বিজয়ের মাসে পতাকা কিনে লাগান। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের নানা পেশা, বয়সী মানুষের হাতে পতাকা পৌঁছে দিচ্ছেন এরাই। বিজয়ের মাসে চারদিকে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের পথচলার সঙ্গে সঙ্গে উড়ছে আমাদের বিজয়ের নিশানও। পতাকার ফেরিওয়ালারা বিজয় দিবসের আগমনী বার্তা বহন করে আনে এই মফস্বল শহরের মানুষের কাছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn