পারিবারিক কলহের জেরে রংপুর বিশেষ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বুধবার (৪ এপ্রিল) রংপুর র‍্যাব-১৩ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনাই নিজ মুখে স্বীকার করেন স্নিগ্ধা। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্নিগ্ধা এবং দুই কিশোর সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে হত্যার পরিকল্পনা করেন রথীশের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দিপা ও তার প্রেমিক কামরুল মাস্টার। তারা উভয়েই তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগেই তাজহাট মোল্লা পাড়ার দুই কিশোরের সহযোগিতায় ২৮ মার্চ বুধবার একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরের মেঝের বালু সরিয়ে গর্ত করে রাখে তারা। পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাতে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে স্নিগ্ধা ও কামরুল মিলে তাকে হত্যা করেন। বেনজীর আহমেদ বলেন, হত্যার পর মরদেহ বাড়ির আলমারিতে ঢুকিয়ে কৌশলে আলমারি পরিবর্তনের কথা বলে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির অদূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ার সেই নির্মাণাধীন ভবনে, যেখানে আগে থেকেই গর্ত করে রাখা হয়েছিলো। পরে সেই গর্তেই মরদেহ পুতে ফেলেন তারা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn