পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের পেছনে মতলববাজি মহলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমীতে খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ ইঙ্গিত দেন তিনি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাহাড়ে আজও রক্তপাত হলো। শান্তির মধ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য একটা মতলবি মহল সক্রিয়। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা অনেকের ঈর্ষার কারণ। সোজা পথে পারে না, বাঁকা পথে আসে। আলোতে পারে না, অন্ধকারের আশ্রয় নেয়। রক্তপাতের আশ্রয় নেয়, ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।’তিনি বলেন, ‘খেলাঘরের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে ডালপালা বিস্তারে যারা সহায়তা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে, সেই অপশক্তি সক্রিয়। অপশক্তি সক্রিয় বলেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভিসির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বাড়িতে একাত্তরের নারকীয়তার পুনরাবৃত্তি হয়।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর, এ বছর অনেক অঘটন ঘটার পাঁয়তারা আছে, চক্রান্ত আছে। কারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, তখন চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ বেড়ে যায়। আমাদের দেশে নানান ঘটনা হচ্ছে।’

নির্বাচন বর্জন করলে প্রতিরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে আসেননি বলে গণতন্ত্র থেমে  থাকবে? নির্বাচনি ট্রেন স্টেশন ছাড়বে না? সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আগেও নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করেনি, এবারও করবে না। না আসলে না আসুন। বর্জন করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। বর্জন করা আপনার ইচ্ছা, কিন্তু ওই সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন না। জনগণ প্রতিরোধ করবে।’এসময় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অভিযোগের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিটি করলে অভিযোগ তো আসবেই। আমাদের কাছেও অভিযোগ আসছে। মাথাব্যথা হলে তো মাথা কেটে ফেলা যায় না। সমাধানের চেষ্টা আছে।’ সাংষ্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনে টাকার ছড়াছড়ি। সেখানে পুষ্পিত আদর্শের পতাকা ধারণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বড়ই দুর্দিন। এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতার যে যাত্রা আমি শুরু করেছিলাম, সেটা সময়ের চাহিদা মেটাতে আজ পারছে না। কিন্তু পারা উচিত ছিল। শিল্পীরা এত কম সম্মাননা পান, সংসার চলে না। যারা মূল্যবোধ নিয়ে এখনও যুদ্ধ করছে, তারাই বেশি কষ্টে আছেন।’সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনা আছেন বলে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কাকের কোলাহলকে অতিক্রম করে কোকিলের কুহু ধ্বনি শোনা যায়। অসাধারণ প্রতিভা আজ বাংলাদেশে।’খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের চেয়ারপারসন অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, অধ্যাপক নুরুর রহমান সেলিম, কামালা চৌধুরী, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারি, শমী কায়সার প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ‘বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতিপদক’ তুলে দেওয়া হয় অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, কামালা চৌধুরী ও অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারির হাতে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn