সিলেট:: অবশেষে পূর্ণাঙ্গ হতে যাচ্ছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রে জমা দেওয়া হচ্ছে দুই কমিটির তালিকা। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই করে নিতে সিলেট ও ঢাকার নেতাদের কাছে চলছে লবিং। ব্যস্ততা বেড়ে গেছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের। তবে জেলা ও মহানগরের পদবীধারী শীর্ষ নেতারা বলছেন নতুন ও পুরাতনদের মিশেলেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। দলের জন্য ত্যাগী ও ‘কমিটেড’ নেতাদেরই অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। দলীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এডভোকেট লুৎফুর রহমানকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদকে মহানগরের সভাপতি ও অধ্যাপক জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এই চার নেতা নিজ নিজ শাখার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা। কিন্তু করোনার কারণে থেমে যায় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কার্যক্রম। এদিকে, গত বুধবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই নির্দেশের পর শুরু হয়েছে কমিটি নিয়ে তোড়জোড়। গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপও বেড়ে গেছে। জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘ম্যানেজ’ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের আর্শিবাদ পেতে ঢাকায়ও চলছে লবিং। ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগরের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দেখা করে এসেছেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন ও পুরনো নেতাদের সমন্বয়েই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। আগে প্রতিটি কমিটি ৭১ সদস্যের হলেও এবার হচ্ছে ৭৫ সদস্যের। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন না সাবেক নেতারা। স্থায়ীভাবে বিদেশগমন, রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়তা ও মৃত্যুজনিত কারণে আগের কমিটির প্রায় এক চতুর্থাংশ পদ শূণ্য রয়েছে। এই শূণ্যপদগুলোই পূর্ণ করা হবে নতুন মুখ দিয়ে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদেরই স্থান দিতে চান জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়া প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘দলকে গতিশীল করতে নতুন-পুরাতনের মিশেলেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। দলের জন্য যাদের অবদান বেশি, কমিটিতে তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছিল। সে লক্ষ্যে কাজও চলছে। সাংগঠনিক অবস্থা সুদৃঢ় করতে পুরনোদের পাশাপাশি নতুনদেরও কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতৃত্ব তুলে আনার চেষ্টা করা হবে।’ অধ্যাপক জাকির আরও বলেন, ‘যাদের ইমেজ ভাল, দলের জন্য ত্যাগ আছে। দু:সময়ে যারা দলের জন্য ঝুঁকি নিয়েছে, যাদের রাজনৈতিক ‘কমিটমেন্ট’ আছে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়েই আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের চেষ্টা করছি।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn