ছরওয়ার হোসেন, নিউ ইয়র্ক-

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে দেশের প্রগতিশীল মানুষের স্বপ্নের শেষ ঠিকানা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমন সফল হোক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সম্মূখে রেখে বছরের শুরুতেই তাঁর এ সফর ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। বছরের শেষদিকে অনুষ্টেয় নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগ নিরংকুশ বিজয় অর্জন করুক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাংলার স্বাধীনতার প্রতিক নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হোক, যা দেশ-বিদেশের আপামর প্রগতিশীল বাঙালীর একান্ত প্রত্যাশা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত আধুনিক প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মানের সুযোগ্য অগ্রদূত জননেত্রী শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমনে দেশে-বিদেশে থাকা সিলেটবাসী তাই দারুণ উচ্ছসিত। জননেত্রীর জয় হোক। 

কোন কোন সময় আনন্দের মধ্যেও বিষাদ যুক্ত থাকে। আগের বার যখন তিনি সিলেট সফর করেছিলেন, তখন তাঁর সাথে ছিলেন সিলেটের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। পরলোকগত কারণে এবার সিলেটবাসী তাঁর অনুপস্থিতি ও দরাজকন্ঠের বক্তৃতা শুনতে পারবেনা। যা সিলেটবাসীকে ব্যতিত করবে, একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।  একথা অনস্বীকার্য যে, জননেত্রীর জনসভায় সিলেটবাসীর দৈহিক ও হৃদ্যিক চোখ চতূর্দিকে খুজে বেড়াবে সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান, বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে। যিনি সিলেটের মাটি ও মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, সিলেটবাসীর হৃদয়ের অনুরণন যার মর্মবীণায় বাঁজে সর্বদা, যাকে ঘিরে সমগ্র সিলেটবাসী এখনো স্বপ্ন দেখে, বৃহত্তর সিলেটের আওয়ামী লীগের সুদিন-দূর্দিনে যার পদাচারনা সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফেনিল সমুদ্রের যৌবনা তরঙ্গের মতো অনুপ্রেরণায় উচ্ছসিত করতো, যার বিপ্লবী কন্ঠের সুললিত কাব্যিক বক্তৃতা হতাশার অন্ধকারের বুক চিরে দলের নেতাকর্মীদের দেশ ও মানুষের কল্যান এবং মুজিবাদর্শের উজ্জীবনের তরে ত্যাগের প্রদীপ্ত আলোয় উদ্দীপ্ত করতো, হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীন যিনি আইয়ুবশাহীর কারাপ্রকোষ্টে অন্তরীণ বাংলার স্বাধীনতা ও মুক্তির স্থপতি বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শিক অনুরাগী হয়ে উঠেন, নেতাকর্মীদের প্রতি যার দীক্ষা ছিলো- যদি রাজনীতির মৌলিক অর্থ খুজতে চাও, তবে আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনীকে অবলোকন, অনুভব ও ধারণ করো । 

সিলেট আর সুলতান মনসুর অভিন্ন সত্তা

সিলেটের কিংবদন্তীদের ভিড়ে তাঁর তুলনা তিনি স্বয়ং। মৌলভীবাজার বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্টার মধ্যদিয়ে যার ছাত্ররাজনীতির শুরু। তারপর ক্রমান্বয়ে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ, সিলেট এম সি ইন্টারমেডিয়েট কলেজ (বর্তমান সিলেট সরকারী কলেজ ), এম সি কলেজ এবং সিলেট মদনমোহন কলেজের ছাত্র সংসদের সর্বোচ্চ পদে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে  নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে সমগ্র সিলেটজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্টিত হয়ে এবং ৭৫’র জাতির জনক  বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর প্রতিশোধের নেশায় অস্ত্র হাতে প্রতিবাদে গর্জে উঠার মধ্যদিয়ে তিনি সিলেটের রাজনীতিতে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্টিত। কালের পরিক্রমায় সিলেটের রাজনৈতিক ইতিহাসে সুলতান মনসুরের নাম স্বর্ণাক্ষরে গ্রথিত হয়েছে।

সিলেটের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার মঞ্চে জননেতা সুলতান মনসুরকে দেখতে অত্যন্ত উদগ্রীব। যিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, বিশ্বের নির্যাতিত-নিপিড়িত মানুষের কন্ঠস্বর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংস হত্যার পর পিতা হত্যার প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত হয়ে আপন জীবন-যৌবনের দুরন্ত স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে অস্ত্র হাতে যিনি দেশান্তরী  হয়েছিলেন, যিনি ছিলেন স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের শ্রেষ্ট জনপ্রিয় নেতা, যিনি ক্ষনিকের জন্যও কোন দূর্ণীতি ও প্রতিক্রিয়াশীলতার নিকট আপোষ করেননী, তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক নির্বাচিত ভিপি সুলতান মনসুরের জন্য আজ শুধু সিলেট নয় দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হৃদয়ে বেদনার ব্যাকুলতা উদগীর্ণ হচ্ছে। কেননা, তিনি উড়ে এসেই জুড়ে বসেননি বা রাজনীতিতে কোনক্রমে ঠিকে থাকার জন্য অন্যদের মতো কৈশোর ও যৌবনের লালিত আদর্শ-চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে দলবদল-নীতিবদল করে আওয়ামী লীগের পতাকার নিচে আসেননি বা সৌভাগ্যের মহিমায় নৌকার বৈঠা হাতে নেননি; তিনি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ঔরসজাত সন্তান, যিনি কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধু, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের জন্য জীবন উৎ

সর্গের সংগ্রামে বার বার লিপ্ত হয়েছেন, যিনি মুজিবাদর্শের প্রেরণা ও শক্তির উৎস।  রাজনীতি বড়ই বর্ণময়। খুবই সহজ কিংবা কঠিন। শত্রুর নিষ্টুরতার চেয়েও ভয়ংকর কিংবা প্রেয়সীর চুমুর মতো মাধুর্যময়তায়  আবিষ্ট।  নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলী দিয়ে, দূর্ণীতির মধ্যে আকন্ঠ নিমজ্জিত থেকে দলের সামনে অন্ধকার রজনী উৎকীর্ণ করে অর্থ ও ক্ষমতার বদৌলতে সুযোগ এবং সৌভাগ্যের হাত ধরে কখনো স্বার্থান্বেষী অনাহুত অর্বাচিনরাও কীট পতঙ্গের মতো উঠে আসে অট্টালিকার উপর এবং ভর করে রাষ্ট্র ও মানুষের মাথা-মগজে আবার কখনো সামান্য ভূলে মহারাজার পতন হয় অনিবার্য। কখনো কখনো পরশ্রীকাঁতর ঘষেটি বেগমদের দৌরাত্ন্য রাজনীতিতে ত্যাগীদের ত্যাগ ও আদর্শনিষ্টের সংগ্রামমূখর সমগ্র জীবনের যাত্রাপথকে অন্ধকারে ঢেকে দিতে মহাশক্তিময় হয়ে উঠে। এরকম অন্ধকার শক্তিময়তার হিংস্রতার শিকার দেশের পরিচ্ছন্ন মানসিকতাসম্পন্ন প্রগতিশীল ছাত্রজনতার হৃদয়ের সুলতান, চতূর্দিকের দূর্ণীতি এবং কালোটাকার দৌরাত্নের মাঝে নিরহংকারী ও নির্লোভী, সৃজনশীল  রাজনীতির প্রতিভূ, সিলেটের নক্ষত্র সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

কিন্তু সুলতান’রা যে ক্ষনজন্মা। চতূরদিকের স্বার্থান্বেষী, প্রতারক, মোসাহেবীদের ভিড়ে ঔদার্য, ত্যাগ, শক্তি, সাহস, দৃঢ়তায় পূর্ণ আদর্শনিষ্ট ও স্পষ্টভাষী সুলতান মনসুরদের চাইলেই বছর কিংবা যুগে যুগে জন্ম দেওয়া যায়না। মহাকালের যাত্রাপথে প্রকৃতিই তাদেরকে যেন জন্ম দিয়ে যায় জাতির চরম দূর্দিনে রুখে দাড়াতে। তাইতো ষাটের দশকের শেখ ফজলুল হক মনি কিংবা আং রাজ্জাক বা তোফায়েল আহমদ, নুরে আলম সিদ্দিকীরা হয় ইতিহাসের স্বর্ণ দ্বীপ্তিময়তায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের পরিপুরক। আর তাঁদের পথ ধরেই অগ্রন্মুখ হওয়া একাত্তরের সিপাহশালার ও পচাঁত্তরের বীর সেনানী বাঘা কাদের সিদ্দিকী বা সুলতান মনসুরকে আওয়ামী লীগ ছুড়ে ফেলে দিলেও দেশব্যাপী তাঁদের জনপ্রিয়তায় আঁচ লাগেনী। কেননা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শই তাদের শক্তির উৎস। এখানে তাঁরা আপোসহীন। 

তাইতো ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে সিলেটে অনুষ্টিত প্রথম প্রতিবাদ সভার  অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা সুলতান মনসুর এবং জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে নির্মমভাবে হত্যার পর এর বিরুদ্ধেও সিলেট এম সি কলেজের বুকে অনুষ্টিত প্রথম প্রতিবাদ মিছিলে মুজিববিহীন বংলাদেশে ছাত্রসমাজের কন্ঠে  আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে “জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগানে তূর্যনিনাদে গর্জে উঠেছিলো যে নব অরুনোদয়ের তারুণ্যশক্তি তারও অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন সিলেটের রত্ন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। সে নিষ্টুর সময়ে মামলা হুলিয়ার ভয়ে যখন অনেক বড় বড় নেতারাও আত্নগোপন করেছিলেন বা ক্ষমতাসীন অপশক্তির সঙ্গে আপোষ নীতি গ্রহন করেছিলেন, তখন মামলা হুলিয়ার ভয়ে তটস্থ না হয়ে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানী না করে মহাকালের সাক্ষী, তারুন্যের শক্তি সুলতানরা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। বিতর্কের পর বিতর্ক, পাঁছে

আলোচনা-সমালোচনা রাজনীতি ও রাজনীতিকদের ভূষন। কিন্তু, সবকিছুকে বাদ দিয়েও যারা দেশব্যাপী  গণমানুষের ভালোবাসা, স্নেহ-শ্রদ্ধা ও আগ্রহকে দিবালোকের মতো দ্বীপ্তিময়তায় আচ্ছন্ন রাখতে পেরেছেন এ তাঁদের অনাবিল অর্জনই শুধু নয়, তাদের কীর্তির প্রতি গণমানুষের শ্রদ্ধাসিক্ত প্রতিদান বটে।  তাইতো সিলেটের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার মঞ্চে সিলেট রত্ন সুলতান মনসুরের অনিবার্য উপস্থিতিই একান্তভাবে প্রত্যাশা করে। দুনিয়াজুড়া রাজনীতিতে ভূলশুদ্ধ মিলেই নেতাকর্মীদের পথচলা। দলের সর্বোচ্চ নেতারাও যে সর্বদা উৎকৃষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তাও যেমন নয়, তেমনি সমনীতি নেতৃত্বের নিম্নদিকেও ধাবিত হয়। কিন্তু কীর্তিমানদের মূল্যায়ন গণমানুষের কাছে সর্বদাই নির্হিত হয় মানবিক মূল্যবোধ থেকে সত্যকে ধারণ করে অন্ধকারভেদী আলোর যাত্রাপথে। সে আলোর যাত্রাপথেই একদিন যেমন ছাত্রনেতা সুলতান মনসুর শেখ হাসিনার অপার স্নেহসিক্ত হয়ে দেশব্যাপী নিজের যোগ্যতর কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি করেছিলেন, গর্জে উঠেছিলো মুজিবাদর্শের উজ্জীবনী শক্তি এবং সৃষ্টি হয়েছিলো বিপ্লবী ইতিহাস, তেমনি দেশব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের মধ্যে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ঘষেটি বেগমদের বংশদররা নানান চালে দুজনের সে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্কে চিড় ধরালো। ক্রমেই বিশ্বাস ও আস্থায় ভাই-বোনের সম্পর্কে দুরত্ব সৃষ্টি হতে হতেই আজ দুজন দু’মেরুর বাসিন্দা। যারা বোনের পাশে থাকেন তারা ভাইয়ের প্রতি

তাঁর দীর্ঘশ্বাস শুনেন, আর যারা ভাইয়ের পাশে যান তারা অনুভব করেন বোনের প্রতি তাঁর ব্যাকুলতা। দুটি হৃদয়ের এ ব্যাকুলতা স্নেহ, সান্যিধ্য ও আস্থার প্রদীপ্ততায় আবারো উদ্ভাসিত হোক এবং দুটি কীর্তিমান হস্ত একত্রিত হয়ে শতদল হয়ে ফুটুক সমগ্র সিলেটবাসী সেদিনের জন্য অধীর অপেক্ষমান।  সামান্য ভূলে সুলতান মনসুরকে ছুড়ে ফেলা সহজ কেননা, সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ঔরসজাত। পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্বে ভোগা বঙ্গবন্ধুর স্নেহসিক্ত একাত্তরের সিপাহশালার বাঘা কাদের সিদ্দিকীকেও ছুড়ে ফেলা যায় কেননা, তিনিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সন্তান। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর চামড়ায় ‘ডুগডুগী’ বানানোর খায়েশী নেতাদের, কিংবা স্বাধীন বাংলার মাটিতে জাতির জনকের কবর রচনার পটভূমি যারা সৃষ্টি করেছিলো, যদি স্বাধীন বাংলার মীরজাফর খন্দকার মোস্তাক – জিয়াচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করতো তবে যে বা যারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ খুজছিলো, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সেই বর্ণচোরাদের যদি ক্রমেই আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্টিত করা যায়, এম পি মন্ত্রী বানিয়ে দেশের স্বার্থে উদারতার পরিচয় দেওয়া যায় তবে কেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সূর্যস্নাত প্রতিভা সুলতান মনসুরদের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুরত্ব থাকবে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাদের দুরত্ব থাকবে আর স্বার্থান্বেষী পরজীবি, বর্ণচোরা দুর্ণীতিবাজরা উপকৃত হবে রাজনীতি ও রাষ্ট্রে। তাই একই পিতার আদর্শিত সম্তানদের মধ্যে আর বিভাজন নয় ঔদার্যপূর্ণ সমজোতা ও সহাবস্থানই কাম্য। কম্প্রোমাইজ যদি হয় রাজনীতির ভূষণ  তবে তা নূন্যতম দুটি পক্ষকে একীভূত করে থাকে। এতে দু’পক্ষই লাভমান হয়। ফলে দুটি পক্ষই অগ্রন্মূখ হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই  কীর্তিমান দুটি হস্তই সম্মূখদিকে ধাবিত হোক, নব উদ্দীপনা ও অরুনোদয়ে  উদ্ভাসিত হোক মুজিবাদর্শের দূর্গ সিলেট তথা সমগ্র বাংলাদেশ। জননেত্রী

শেখ হাসিনার সিলেট শুভাগমনে এটাই সিলেটবাসীর প্রত্যাশা। 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু । 

লেখক: ছরওয়ার হোসেন, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn