প্রায় ‘দেউলিয়া’ হয়ে পড়া বেসরকারি ফার্মার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর। ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা ও সমর্থক এর পরিচালনা পর্ষদ ছিল। এতে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক নাজমুল আলমও ছিলেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। তবে সিদ্দিক নাজমুর দাবি করেন, তিনি এই ব্যাংকের কেউ না। এক বন্ধুকে কোনো এক দানবের থাবা থেকে বাঁচতে তিনি এতে সংশ্লিষ্ট হয়েছিলেন। ফার্মার্স ব্যাংকে নিজের সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এই সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক। স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে দেয়া হলো:

‘আমি কোন ব্যাংকের পরিচালক কিংবা উদ্যোক্তা কিছুই না, আমার এক অসহায় বন্ধুকে এক দানবের থাবানল থেকে রক্ষা করেছিলাম। সে পরিচালক হয়েছিল শুধু তার উপর যেনো দানবের থাবা আর না পড়ে সেজন্য। আমার নামে কিছু প্রাইমারী শেয়ার কিনেছিলো, আমিও বোকার মতো রাজী হয়েছিলাম। সেই ব্যাংকে কোন একাউন্টও নেই কিংবা যাইওনি কখনও। আজ সারাদিন সামাজিক মাধ্যম গরম ছিলো সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে নিয়ে। বিতর্কিত নিউজ এটা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী এবং আসিফ নজরুলের মতো পাপীও শেয়ার করেছে আমার বিষয়টি… কারন তার সাথে আমার হিসেবটা অনেক পুরোনো যেটা অনেকেই জানেন।

‘আর যারা আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর গিলছেন তাদের বলি দৌড়াতে থাকেন হাপাতে হাপাতে দেখবেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাদা ফকফকা কারন সুযোগ থাকা সত্বেও কোন ভবন নিয়ন্ত্রন কিংবা সরকারি কাজে দালালি কিংবা কমিশন খেয়ে কোন মানুষের উপকার করার মতো ঘটনা আমার ডিকশনারীতে নেই। যেটা হরহামেশাই অনেকেই করেন। কতকিছু আমাকে বানালেন, শেষ আইটেম এইটা দেখি কতটুকু হিট হয়।‘আর সংবাদপত্রে যে রিপোর্টার যে ভাষায় নিউজটি করছেন সে হয়তো অনেক জমিদারের পূত্র তবে আমি এখনও গর্ব করে বলি আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তবে আমার শখ পূরন আমি করি কারন ছোটবেলা থেকেই আমার আত্মাকে আমি কখনোই কষ্ট দেইনা। ‘লিখবো আরেকদিন হয়তো…’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn