পীর হাবিবুর রহমান এর ফেসবুক পেইজ থেকে-

অবশেষে ঢাকার সঙ্গে ভারতের আকাশ যোগাযোগ শুরু হলো। ২২ আগস্ট আমি ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বাই যাচ্ছি আমার বোনমেরু ট্রান্সপ্লানটেশনের জন্য। টিকেট কাটা হয়েছে। মে মাসেই করার কথা ছিলো। করোনার প্রলয় যোগাযোগ ছিন্ন করেছিলো।আমার চিকিৎসক যাকে ভারতের মানুষ অনকোলজির ভগবান বলে সেই সুরেশ আদবানি জাসলুক হসপিটালে বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টে আমার শররীরের টিস্যুই ব্যবহার করবেন।

গত ডিসেম্বরে আমার মালটিপল মায়োলমা নামের ক্যানসার ধরা পরলে মুম্বাই যাই চিকিৎসার জন্য। মোট ২২টি কেমো ইনজেকশন নিয়েছি।ওরাল কেমো চলছে। ভিডিও কনফারেন্সে আদবানির চিকিৎসা। কিছু টেস্ট দিলে রিপোর্ট দেখে বলেন ডিজিজ কন্ট্রেলে।এ রোগকে তারা ডায়াবেটিসের সাথে ধরেন। যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

অনেকে কেমো নিয়ে মেডিসিন নির্ভর জীবন কাটালেও এর চূড়ান্ত চিকিৎসা বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট। এতে শরীর বিষমুক্ত হয়। আমি সেটিই করছি। জীবনে যখন যেটির মুখোমুখি হয়েছি মানসিক শক্তিতেই মোকাবেলা করেছি। মানসিক শক্তি হারাইনি। হার্টে তিনটি রিং আছে। ৬ বার এনজিওগ্রাম করিয়েছি তবু অদম্য গতিতে ছুটে চলা থামেনি। বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট হলে আমাকে একমাস হসপিটালে আইসোলেশনে রাখা হবে। এটা হবে কষ্টের। তারপর কিছুদিন মুম্বাই শহরে থাকতে হবে পর্যবেক্ষণে। ফিরে এসে আমি আবার সেই আগের গতিতেই ছুটতে চাই।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn