ফেসবুকে প্রেম থেকে ১০ বছরের বড় ডিভোর্সিকে বিয়ে করেন ধাওয়ান
আয়েশার বাবা বাঙালি, মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। আয়েশার জন্ম ভারতে। তবে শৈশবেই তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে চলে যান অস্ট্রেলিয়া। তার পর বড় হওয়া সেখানেই। বাংলা এবং ইংরেজিতে সমান স্বচ্ছন্দ আয়েশা ভালোবাসেন রান্না করতে।ইন্টারনেটে চ্যাট করতে করতেই ধাওয়ান-আয়েশা বন্ধুত্ব পাল্টে যায় প্রেমে। তখন আয়েশা ডিভোর্সি এবং দুই মেয়ের মা। আয়েশার প্রথম স্বামী ছিলেন এক অস্ট্রেলীয় ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে দুই সন্তান রিয়া এবং আলিয়াকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান আয়েশা। আগের সংসার ও ডিভোর্স বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি আয়েশা এবং ধাওয়ানের সম্পর্কে। ২০০৯ সালে তাদের এগনগেজমেন্ট হয়। তখনও জাতীয় দলে জায়গা পাননি ধাওয়ান। পরের বছর জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়। তারও ২ বছর পর ২০১২ সালে বয়সে ১০ বছরের বড় আয়েশাকে বিয়ে করেন ধাওয়ান।
জীবনসঙ্গিনী নির্বাচন নিয়ে ধাওয়ানকে নিজের পরিবারে যথেষ্ট বাধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু আয়েশাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে তিনি পাশে পেয়েছিলেন মাকে। বিয়ে করার সময় আয়েশার শর্ত ছিল, তার মেয়েদের সঙ্গে ধাওয়ানের সম্পর্ক যেন মসৃণ হয়। আলিয়া এবং রিয়ার সঙ্গে সহজ সম্পর্কের পরেই ধাওয়ানকে বিয়ে করেছিলেন আয়েশা। শিখ ধর্মের রীতিনীতি পালন করে বিয়ে হয়েছিল ধাওয়ান-আয়েশার। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিরাট কোহলিসহ ভারতীয় দলের এক ঝাঁক ক্রিকেটার। ২০১৪ সালে জন্ম হয় ধাওয়ান-আয়েশার ছেলে জোরাবরের। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ধাওয়ান ও আয়েশার ভরপুর সংসার। আয়েশার সমর্থন এবং উৎসাহ তাকে সব সময়েই ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। বিয়ের পরে ক্রিকেটার হিসেবে অনেক বেশি পরিণত হয়েছেন বলে দাবি বাঁ-হাতি ওপেনারের। তবে লেডি-লাক তত্ত্বে বিশ্বাসী নন আয়েশা। তার কথায়, ক্রিকেট নিয়ে প্যাশনেট এবং নিজের চেষ্টাতেই ধাওয়ান উন্নতি করেছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।-পূর্বপশ্চিমবিডি