বগুড়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শফিকুল ইসলাম খুনের ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় ২ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ এবং ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, দুটি গুলির খোসা ও চাকু উদ্ধার করেছে। জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো-লাল মিয়া ওরফে বিষু ওরফে সম্রাট, রাকিব, আব্দুল হালিম বগা ও রবিউল। এদের মধ্যে রাকিব ও আব্দুল হালিম বগা গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশি পাহারায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একইসাথে আহত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তাহের, কনস্টেবল রেজাউল ও রশিদ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার দিবগত রাতে চারজনের মধ্যে দুই আসামিকে নিয়ে আলামত উদ্ধারে শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশ ও গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত রাকিব ও আব্দুল হালিম বগা গুলিবিদ্ধ হয়।
একই সাথে এএসআই তাহের, কনস্টেবল রেজাউল ও রশিদ আহত হন। গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে শাজাহানপুরের শাকপালায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট শফিকুল নিহত হন। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া খুনের ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনায় অংশ নেওয়া শাকপালা এলাকার রাকিব, আব্দুল হালিমবগা ও রবিউলকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব বগা এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। শাকপালার আমিনুল খুনসহ একাধিক মামলার আসামি। পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn