শহিদনূর আহমদঃ অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনাসহ বর্ধিত সময়ে হাওরের বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় ১২ উপজেলা ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন নামের একটি কৃষক সংগঠন। রবিবার সকাল ১১ টায় জামালগঞ্জের খেয়াঘাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন কৃষক জনতাসহ সংগঠনের নেতারা। ঘেরাও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ অংগ্রহণ করেন।

এসময় বর্ধিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করেন বক্তরা। পাহাড়ি ঢল ও অকাল বন্যার আগে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার কৃষকের বোরো ফসল ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। বাঁধের কারনে ২০২২ সালের মতো ফের ফসল ডুবির ঘটনা ঘটলে কৃষকদের সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষাণার হুশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

জামালগঞ্জ উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি শাহানা আল আজাদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় ঘেরাও কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক বিজন সেন রায় অভিযোগ করেন বলেন, চলতি অর্থ বছরে ফসল রক্ষা বাঁধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে। কাজের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার কারনে দুই মেয়াদে সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে তা হাওরের কৃষকরা জানেন না। কৃষকের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতায় আবারও যদি ফসল তলিয়ে যায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল বলেন, সরকার কৃষকের ফসলের সুরক্ষা ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু সময় মতো বাঁধের কাজ না করায় ফসল ঝুঁকিতে রয়েছে। দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও কাজ হচ্ছে না। কোনো ধরনের মনিটরিং নেই। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ এখন কেনও বাঁধে যাচ্ছেন না। তারা কবে বাঁধে যাবেন? হাওর ডুবে ফসল তলিয়ে গেলে তখন তারা মায়াকান্না দেখাবেন। কুষকরা এসব বুঝে। কৃষকদের নিয়ে তামাশা করবেন না। দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করুন নতুবা এর ফল ভালো হবে না। আজ প্রতীকি ঘেরাও কর্মসূচি পালস করছি আমরা। কৃষকের ফসল ডুবলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটির সাবেক সদস্য সচিব রাজু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনূর আহমেদ, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক আবুল কালাম আজাদ, হাওর আন্দোল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুল, জামাল হোসেন, মতিন মিয়া, মখলিছ মিয়া, আলী আক্কাস মুরাদ প্রমুখ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn