ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইফফাত জাহান ইশাকে হেনস্থার অভিযোগে হলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুনকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুন। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বহিষ্কারাদেশকে অগঠনতান্ত্রিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন মুন। লিখিত বক্তব্যে মুন বলেন, কবি সুফিয়া কামাল হলের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটি আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। আমার কোনো বক্তব্যও নেয়নি। ফলে আমি দোষী না নির্দোষ বা আমি কি দোষ করেছি তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছি। ‘ঘটনায় প্রকৃত যারা দোষী আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি। কিন্তু যে ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই সেখানে একটি অসম্পূর্ণ তদন্ত আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জাতির জনক ও শেখ হাসিনার আদর্শের ছাত্রলীগ নিয়ম না মেনে আমাকে কীভাবে বহিষ্কার করা হলো তার জবাব বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দিতে হবে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় হলেই ছিলাম না। দীর্ঘ এক বছর ধরে হলের বাইরে আছি। কীভাবে আমার সম্পৃক্ততা পেয়েছে আমি জানি না। একটি মেয়ে ভারতে থেকেও বহিষ্কার হয়েছে। অনেকের বিভাগের নাম ভুল রয়েছে। অনেকের পূর্ণ নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে কীভাবে কমিটি তদন্ত করলো? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ২৪ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn