সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে ৩৬.৩ ওভারে ১২৫/৯ (বাংলাদেশ ২১৬/৯)

রাজাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে মোটে ১ রান দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই পেয়েছেন সিকান্দার রাজার উইকেট। মুস্তাফিজের অফ কাটারে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন রাজা। বলের ওপরে যেতে পারেননি। শটও ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ৫৯ বলে ৩৯ রান করে রাজার বিদায়ের সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০৭/৮।

জিম্বাবুয়ের একশ

নিয়মিত উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের স্কোর তিন অঙ্কে গেছে ৩২তম ওভারে। একশ রান করতে ১৮৮ বল খেলেছে অতিথিরা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে আরেকটি বোনাস পয়েন্ট পাওয়ার পথ বাংলাদেশ। টানা তৃতীয় বোনাস পয়েন্ট পেতে জিম্বাবুয়েকে ১৭২ রানের ভেতরে থামাতে হবে স্বাগতিকদের।৩২ ওভারে ৭ উইকেটে ১০১ রান করা জিম্বাবুয়ের জন্য ততদূর যাওয়াও এখন অনেক দূরের পথ। সিকান্দার রাজা খেলছেন ৩৩ রানে। কাইল জার্ভিস এখনও রানের খাতা খুলেননি।

রুবেলের শিকার ক্রিমার

দ্রুত রান তোলা গ্রায়েম ক্রিমারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। এই পেসারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।রুবেলের মিডল স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ক্রিমার। স্কিড করা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ৩১ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক।৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯৫/৭। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন কাইল জার্ভিস। জয়ের জন্য ২০ ওভারে আরও ১২২ রান চাই জিম্বাবুয়ের।

সানজামুলের জোড়া আঘাত

টানা দুই বলে উইকেট নিলেন সানজামুল ইসলাম। পিটার মুরের পর ফিরিয়ে দিলেন ম্যালকম ওয়ালারকে।মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ওয়ালার। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। আম্পায়ার আউট দিলে নেন রিভিউ। তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেলেন ওয়ালার। জয়ের পথ আরও বেশি কঠিন হয়ে গেল তার বিদায়ে। ২৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬৮/৬। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন গ্রায়েম ক্রিমার। জয়ের জন্য ২৭ ওভারে আরও ১৪৯ রান চাই অতিথিদের।

জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ ভাঙলেন সানজামুল

টানা আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেল বাংলাদেশ। ভাঙল জিম্বাবুয়ের পঞ্চম উইকেট জুটির প্রতিরোধ। সানজামুল ইসলামের সোজা বল পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন পিটার মুর। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। নন স্ট্রাইকার সিকান্দার রাজার সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান মুর। ৪২ বলে ১৪ রান করে মুর ফিরে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬৮/৫।

মুস্তাফিজের টানা তিন মেডেন

সিকান্দার রাজার জন্য দুর্বোধ্য মুস্তাফিজুর রহমান। ছন্দে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে টানা তিনটি ওভার মেডেন নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। প্রথম দুই ওভারে মুস্তাফিজকে খেলার খুব একটা চেষ্টা দেখা যায়নি রাজার মধ্যে। তৃতীয় ওভারে খেলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু গ্যাপ বের করতে পারেননি।

মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার আরভিন

আগের তিন ইনিংস মিলিয়ে চার করা ক্রেইগ আরভিন ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিলেন পাল্টা আক্রমণ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অফ স্টাম্পে পড়ে বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। বল ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে। ঝাঁপিয়ে দুই হাতে মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান। ১১ রান করে ফিরেন আরভিন। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৯/৪। সিকান্দার রাজা ৪ ও পিটার মুর ৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ১৭৮ রান চাই অতিথিদের।

টেইলরকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিলেন সাকিব

উইকেটের পেছনে দিনটা দারুণ কেটেছে ব্রেন্ডন টেইলরের। সামনে কাটল একেবারেই বাজে। আউট হয়েছেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে। মিরেকে শর্ট বলে ফেরানো সাকিব আল হাসান টেইলরকে বিদায় করেন ফুল লেংথ বলে। এগিয়ে খেলার বদলে টেইলর খেলেন পিছিয়ে। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি, ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। ৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২০/৩। ক্রিজে ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ১৯৭ রান।

মিরেকে ফেরালেন সাকিব

লেংথ যা ছিল তাতে সাকিব আল হাসানের বলটা মারার মতোই ছিল। সর্বশক্তি দিয়ে হাঁকিয়ে ছিলেন সলোমন মিরে। কিন্তু বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ফিরে যান বোল্ড হয়ে। সাকিব শর্ট বলটা গতি অনেক কমিয়ে মিডল স্টাম্পে রেখেছিলেন। সাকিবের চাতুরি বুঝতে পারেননি মিরে। শট খেলে ফেলেন একটু আগেই।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn