দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধ থাকা শ্রম বাজার এবার খুলে দিয়েছে মালয়েশিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া এই দুটি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রথম দিকে ৩২ হাজার শ্রমিক সরাসরি নিয়োগ দেয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়ার সরকার। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা।

গত রোববার দেশটির বাগান ও শিল্প পণ্য মন্ত্রী জুরাইদাহ কামারউদ্দিন বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৩২ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় আনবো। যাদের ডাবল টিকা দেয়া সম্পন্ন করেছেন তাদের আমাদের প্ল্যান্টেশন খাতে নিয়োগ দিবো। এ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ জটিলতা এড়াতে নিয়োগকর্তাগণ খরচ বহন করতে রাজি হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কোটা বারুতে অবস্থিত উদ্ভিদ শিল্প ও পণ্য মন্ত্রণালয় (কেপিপিকে) এই ৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমান এই সেক্টরে কর্মী সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কারণ আমাদের মালয়েশিয়ান নাগরিক এসব কাজ করতে চায় না তারা আরও আরামদায়ক চাকরি খোঁজেন। যদিও আমাদের এই খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ভালো বেতন দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। জুরাইদা অবশ্য বলেছেন যে, বিদেশি কর্মীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি), জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এমকেএন) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএইচ) কর্তৃক ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ চলছে।  আমাদের সর্বোচ্চ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হলো ১৮০ বিলিয়ন রিংগিত ইতিমধ্যে আমরা ১৬০ বিলিয়ন রিংগিত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

তবে মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ কীভাবে ও কোন প্রক্রিয়ায় দেশটিতে কর্মী প্রেরণ করবে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। যদিও এর আগে মালয়েশিয়া- বাংলাদেশ কর্মী নিয়োগ চুক্তি করতে গিয়েও বার বার সরে এসেছে বিভিন্ন কারণে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মাহাথির মোহাম্মদ সিন্ডিকেটের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে কলিং এর মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে। এবারো কি সেই সিন্ডিকেট এর আড়ালে কর্মী প্রেরণ হবে না কর্মীবান্ধব কোন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার কর্মী প্রেরণের সু-ব্যবস্থা করবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn