বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
মামলার বাদী পর পর সাত কার্যদিবস আদালতে উপস্থিত না থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে লালমনিরহাটের একটি আদালত। নিয়ম অনুযায়ী আদালতে দাখিল করা যে কোন মামলায় পরপর তিন কার্যদিবস বাদী আদালতে অনুপস্থিত থাকলেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। লালমনিরহাটের ৪ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মোঃ আফাজ উদ্দিন গত ২ জানুয়ারি এই পরোয়ানা জারি করেন। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ২০১৪ সালের বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাসকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। অন্য এক আসামি হলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি রেজাউল করিম মানিক। বাদী আদালতে উপস্থিত না থাকার পরেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার বিষয়ে ফৌজদারী আইন বিশেষজ্ঞ ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালতে সরাসরি দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে কোনরূপ আইন সঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া যদি বাদী একাধিক ধার্য তারিখে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে মামলাটি খারিজ হবে। এই বিধানে ব্যত্যয় ঘটিয়ে মামলার কার্যক্রম অব্যহত রাখা হলে, তা হবে আইনের পরিপন্থি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই মামলার ক্ষেত্রে বাদী যেহেতু একাধিকবার অনুপস্থিত ছিলেন, সেকারণে মামলাটি খারিজ না করে আইন পরিপন্থি ভাবে মামলাটিকে চলমান রাখা হয়েছে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে না।
২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় ‘সাবেকদের আমলনামা: রেশন ডিলার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহারের শত কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে এই মামলাটি দায়ের করেন মোতাহার হোসেন। প্রতিবেদন প্রকাশের ৪০ দিন পর এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।