সুন্দরী তো বটেই, সঙ্গে সু-অভিনেত্রীও। অরিন্দম শীলের ‘ধনঞ্জয়’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। কিন্তু তিনি যে বাংলার এক সেলিব্রিটি-দম্পতির মেয়ে, সেটা অনেকেই জানেন না।আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘ধনঞ্জয়’-এর শ্যুটিং। বিতর্কিত ‘হেতাল পারেখ মৃত্যু মামলা’ নিয়েই এই ছবি। মিমি চক্রবর্তী ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য যে এই ছবিতে অভিনয় করছেন সেই খবরটি আগেই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু হেতালের চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী বাছাইয়ে একটু সময় নিচ্ছিলেন অরিন্দম। শেষ পর্যন্ত পেয়ে গেলেন হেতালকে— পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন ও অধ্যাপিকা-উপস্থাপক মধুমন্তী মৈত্রের মেয়ে আনুশা বিশ্বনাথন।

আনুশা বেশ অনেকদিন ধরেই থিয়েটার করছেন, বিশেষত ইংলিশ থিয়েটার। অরিন্দম শীলের ছবি ‘দুর্গা সহায়’-তেও অভিনয় করেছেন আনুশা। মূলত সেখানে তার অভিনয় দেখেই হেতাল চরিত্রের জন্য তাকে মনোনীত করেন অরিন্দম শীল।

২০০৪ সালে হেতাল পারেখ মৃত্যু মামলায় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। এই ইস্যুটি নিয়ে অনেক লড়াই করেছিলেন মানবাধিকার কর্মীরা। কলকাতা শহর প্রায় দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল ফাঁসির পক্ষে ও বিপক্ষে। সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সত্যিই কি দোষী ছিলেন ধনঞ্জয়? এই প্রশ্নটি আবারও উঠেছে। কলকাতার কয়েকজন অধ্যাপক এবং গবেষকের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ‘আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়’ দোষী নন, আসলে ওই ঘটনাটি ছিল সম্মানরক্ষায় খুন (অনার কিলিং)’।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn