দ্বিতীয় আরেকটি স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গোপনীয় অথবা ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্টের আরেকটি ‘ব্যাচ’ বা গুচ্ছের সন্ধান পেয়েছেন সহযোগীরা। এর ফলে ক্রমশ রাজনৈতিক বিব্রতকর অবস্থা বাড়ছে হোয়াইট হাউজে। প্রথম ব্যাচটির সন্ধান মিলেছে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি প্রাইভেট অফিসে। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ওই অফিসটি ব্যবহার করতেন বাইডেন। বর্তমানে এসব বিষয় রিভিউয়ের অধীনে আছে আইন মন্ত্রণালয়ে। তবে দ্বিতীয় ব্যাচের ডকুমেন্টগুলো কখন, কোথায় সন্ধান মিলেছে সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য মেলেনি। ওদিকে ক্লাসিফায়েড  ফাইল ‘মিসহ্যান্ডেলিং’-এর অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, হোয়াইট হাউজের কাছেই একটি থিংক ট্যাংক পেন বাইডেন সেন্টারে নভেম্বরে উদ্ধার করা হয় প্রথম দফার ১০টি ডকুমেন্ট। কিন্তু বিষয়টি আলোর মুখ দেখে এ সপ্তাহে। এসব ডকুমেন্টের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিষয়ক মেমো।ইউক্রেন, ইরান ও বৃটেন সংক্রান্ত ব্রিফিং ম্যাটেরিয়ালও আছে তার মধ্যে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এসব ডকুমেন্ট তখনকার। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার পর যে প্রাইভেট অফিস তিনি ব্যবহার করেছেন, এসব ডকুমেন্ট কিভাবে সেখানে গেল সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

বিশেষ কর্তৃত্বের অধীনে এসব গোপন ডকুমেন্ট জনগণের হাতে যাওয়া আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ। এসব ডকুমেন্ট কিভাবে রাখা হয় এবং সংরক্ষিত থাকে সে বিষয়ে আইন আছে। কোনো একটি প্রশাসনের মেয়াদ শেষে গোপনীয় ফাইল সহ হোয়াইট হাউজের সব রেকর্ড চলে যায় ইউএস ন্যাশনাল আর্কাইভসে। নতুন করে যে ‘ব্যাচের’ সন্ধান মিলেছে, সে বিষয়ে হোয়াইট হাউজ কোনো মন্তব্য করেনি। বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংকালে জো বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যাঁ-পিয়েরে প্রথম দফা ডকুমেন্ট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, এসব আইন মন্ত্রণালয়ের রিভিউয়ের অধীনে রয়েছে। আগের দিন প্রেসিডেন্ট যা জানিয়েছেন তার চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn