ঢাকা: ‘বিএনপি একটি অদ্ভূত দল। তারা জিতলে বলে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে। হেরে গেলে বলে আস্থা নেই। আপনারা তো রংপুরে থার্ড হয়েছেন। বুঝতে পারছেন না যে জনগণ আপনাদের আর চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতারা বিভিন্ন সময় বলে আসছে দেশে আইনের শাসন নাই। এ বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, অনেক ছাত্রলীগের ছেলে আছে এখন জেলে। কারো কারো যাবজ্জীবন জেল হয়েছে। কারো ফাঁসি পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু বিএনপির আমলে তাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর বিচার হয়েছে? এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিষয়ে সংবাদপত্রের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রংপুর নিয়ে কত রকমের লেখা হচ্ছে। কেউ কেউ আদাজল খেয়ে রাজনৈতিক কারণে নেমে দাঁড়িয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। সেটা আমরা বুঝি। ফার্স্ট পেজ, ব্যাক পেজ সরকারের বিরুদ্ধে যা লেখা যায়! কুমিল্লায় আমরা হেরেছি। কিন্তু গতবারের চেয়ে ৩৫ হাজার ভোট বেশি পেয়েছি, সেটা তো কেউ লেখেনি! যারা সমালোচনা করেন, তাদের কথা বলছি।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে আওয়ামী লীগ মেয়র নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছে। কিন্তু কাউন্সিলরে প্রথম হয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের ১৪ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, আরও ছয়জন স্বতন্ত্র কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করবে। আর বিএনপির সাতজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির দুজন। এসব লেখা হয় না। এসব না লিখে বলা হয়, আওয়ামী লীগ তলানিতে চলে গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্কুল কমিটি করে সমালোচনা ডেকে আনার দরকার নেই। ছেলে-মেয়েরা পিঠে বই পুস্তকের বোঝা নিয়ে যেন মরুভূমির পথ বেয়ে চলছে, বাচ্চাগুলোকে দেখলে এমনই মনে হয়। তারপর আবার রাজনীতির আরেক বোঝা! দরকার নেই এসবের। ওবায়দুল কাদের বলেন, কোমলমতি বাচ্চাদের কাজ পড়াশোনা করা। রাজনীতি না। কমিটি গঠন অন্ধের হাতে তীর-ধনুক দেওয়ার মতো একটি কাজ। এটা ছাত্রলীগের অজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে হয়েছে। এসময় তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্যে করে এই স্কুল কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেন।ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় তারা মাথা নিচু করে ছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা কাটাকাটি করে চলে যান তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনাসভাগুলো ঘরোয়া সেমিনার ধরনের না হওয়াই ভালো। এমন আলোচনা সভা বটতলায় হওয়া ভালো। কারণ, এমন মিলনায়তনে একটি হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটির নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলান হয় না। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর মাধ্যমিক স্কুলে কমিটি তৈরি করতে সব সাংগঠনিক ইউনিটকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের এই নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন স্কুলে কমিটিও হয়। এরপর পিরোজপুরে একটি স্কুলের ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পেয়েই শিক্ষককে পেটায় এক ছাত্র।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn