‘এবং জার্নি শুরু, বিবাহবার্ষিকীর আগাম উদযাপন…’ এভাবেই নেপালের উদ্দেশে বিমান যাত্রার আগে ফেসবুকে নিজের অনুভূতি জানিয়েছিলেন তাহিরা শশী। সঙ্গে ছবিযুক্ত করেছিলেন সঙ্গী রেজওয়ানুল হক শাওনের। সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তার যাত্রী ছিলেন তারা। ‘হে আমার দেশ, পাঁচ দিনের জন্য বিদায়’ (টাটা মাই কান্ট্রি ফর ফাইভ ডেইস) বিমানের ওঠার আগে এভাবেই ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস লিখেছিলেন পিয়াস রায়। বেলা ১টার সময় তিনি তার ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস লেখেন। সোনামনি নামের আরেক নারী যাত্রী নেপালে তৃতীয়বার হানিমুন করতে যাচ্ছেন বলে তার ফেসবুকে বেলা ১২টার সময় উল্লেখ করেছেন। তিনি হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন তৃতীয় হানিমুন। মেহেদি হাসান অমির সঙ্গে নেপালের কাঠমান্ডু যাচ্ছি। সোনামনির সঙ্গে থাকা আরেক যাত্রী এ্যানি প্রিয়ক দুপুর ১২টার সময় তার ফেসবুকে লিখেছেন, হযরত শাহজালাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমানটি দুপুরের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিল। মোট ৭১ জনের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাচ্ছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (২নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্লেনটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। বাইরে পাখাবিশিষ্ট এ ধরনের প্লেনে সর্বোচ্চ ৭৮টি আসন থাকে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn