বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ডাকাতি করার সময় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামের অদুদ মিয়া ও জুলহাস মিয়ার বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। এসময় এলাকাবাসী পুলিশকে জরুরি সেবাদানকারী ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ এসে মালামালসহ ১১ ডাকাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৩৯০০ টাকা, একটি চেইন, দুটি মোবাইলসেট, দুটি ছোরা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি স্ক্রুড্রাইভারসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। আকটকৃতরা হলো সুনামগঞ্জ পৌরসভার ষোলঘর এলাকার রুবেল মিয়া (৩০) কাপনা গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৩৫), বাহাদুরপুর গ্রামের কামাল মিয়া (৩৫),সিলেটের মানসিনগর গ্রামের আমিন মিয়া (২৮), হেংলাকান্দি গ্রামের মিজনুর রহমান (৪৫), নোয়াগাও গ্রামের আশরাফ আলী (৩৫), হবিগঞ্জের শিবপাশা গ্রামের সুমন মিয়া (২৫), দেবিপুর গ্রামের রাসেল মিয়া (৩০), শায়েস্তাগঞ্জ বাজারের এনাম মিয়া (৪০), জসিম উদ্দিন (৩০) ও সাদিকুর রহমান (২০)।

গৃহকর্তা মো. জুলহাস বলেন, ‘ভোরে ডাকাতরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এসময় ডাকাতরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে সলুকাবাদ ইউনিয়নের তরুনিশা খেয়াঘাটে দিয়ে চলতি নদী পাড় হওয়ার সময় জনগণ ও পুলিশ তাদের আটক করে।’ ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন,‘জুলহাসের বাড়িতে নৌকা বানানোর লাখ খানেক টাকা ছিল। এ খবর ডাকাত দলের সদস্যরা জানতো। তাই সোমবার ভোরে তারা জুলহাসের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ তাদের আটক করে। ডাকাতির ঘটনায় জুলহাস ও  সবুজ মিয়া নামের দুই জন আহত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আটককৃত ডাকাতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মনির হোসেন জানান, সোমবার ভোরে জরুরি সেবার মেসেজ পেয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাপনা  গ্রাম থেকে ডাকাতদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন  এলাকায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn