একদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে চাপ। অন্যদিকে প্রতিদিন নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বৃটেনে। একদিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৯ জন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে আসন্ন শীতে বৃটেনে দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে এক লাখ। এ অবস্থায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে সরকারের ওপর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সেখানে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আগেই প্লান-বি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু নতুন করে কোনো বিধিনিষেধের পক্ষে নয় বৃটিশ সরকার। তবে ভয়াবহতা অতিক্রম করার জন্য তারা করোনা ভাইরাসের টিকার তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সময়সীমা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে।

এর আগে যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং তারপর ছয় মাস সময় পেরিয়েছে, তারাই বুস্টার ডোজ নেয়ার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু সেই সময়সীমা এখন আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে, যাতে আসন্ন শীত মৌসুমে কোভিড বিধি-নিষেধ এড়িয়ে যাওয়া যায়। যখন প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন সরকার একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করতে যাচ্ছে। তাতে জনগণকে বুস্টার ডোজ এবং ফ্ল ‘র টিকা নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে। এই বিজ্ঞাপনের স্লোগান হচ্ছে – টিকা নিন। বুস্টার ডোজ নিন এবং সুরক্ষিত থাকুন। এই বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে বিভিন্ন টিভিতে এবং বিলবোর্ডে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সুপারিশ করেছেন যে, করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের জন্য ছয় মাসের পরিবর্তে সময়সীমা ৫ মাস নির্ধারণ করা উচিত। এটা করা হলে বুস্টার ডোজ নেয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তার এই যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেননি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । পরে ডাউনিং স্ট্রিটের সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, সরকারের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যদিও এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন এন্ড ইমিউনাইজেশনের সুপারিশ প্রয়োজন হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn