কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় সব নেতারা পলিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আমি পালাইনি।’ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার ঠ্যাং (পা) এতো লম্বা যে অন্য নেতারা ১৫০ পায়ে যতটুকু যেতেন, আমি ৮০ পায়ে ততটুকু যেতাম। লম্বা মানুষের মধ্যে কিছু বোকামি থাকে, কোনো প্যাঁচগোচ বোঝে না। আমি যদি পালিয়ে ইন্ডিয়া যাই মানুষ কি বলবে! বোকা ছিলাম। আজও বোকা আছি বলে আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে থাকলে মন্ত্রী থাকতাম। প্রেসিডিয়ামের সদস্য হতাম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট (দলের সভাপতি) হতাম না। আগামী তিনশ’ বছর যদি সারা বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ করে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট কেউ হবে না। আওয়ামী লীগের চকিদার, দফাদার, নায়েব, তহশীলদার হবে।’ আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসা এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট হবে গোপালগঞ্জ থেকে, শেখ হাসিনার বাড়ি থেকে। আজকে শেখ হাসিনা আছে, কালকে তার ছেলে হবে। ছেলে না হয় মেয়ে হবে। মেয়ে না হয় নাতি হবে। নাতি না হয় পুতি হবে। কিন্তু দেশের কেউ প্রেসিডেন্ট হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মালিক গোপালগঞ্জের। আমি ওই মালিকের রাজনীতি কোনো দিন করিনি, করতে চাইও না। যতদিন বেঁচে থাকব করবও না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘যদি কেউ বিএনপি করেন, দুইশ’ থেকে পাঁচশ’ বছরও বিএনপি করেন, বিএনপির সভাপতি হবে জিয়ার বাড়ি থেকে। বগুড়া থেকে। এটাকে গণতন্ত্র বলে না। এটাকে দেশ বলে না।’ ধনবাড়ী উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ড. আজাদ খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক জীবন মাহমুদ শক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn