ব্যবসায়ী মসুদ আহমদ। বিদেশ থেকে এক আত্মীয়ের পাঠানো টাকা তুলতে সম্প্রতি ব্যাংকে যান। এসময় মসুদ তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন। ব্যাংক কর্মকর্তা অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করে দেখেন, মসুদ আহমদ কয়েক মাস আগেই ‘মারা গেছেন’। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে মসুদকে টাকা দিতে অপারগতা জানানো হয় ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ঘটেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মসুদ আহমদের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাঁও গ্রামে। ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে তার একটি রেস্তোরাঁ আছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার মসুদ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে মসুদ আহমদের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩১ মে তার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে জরুরি কাজের জন্য এক আত্মীয় তার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। টাকা তুলতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত একটি ব্যাংকের শাখায় যান। তবে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে নিজেকে ‘মৃত’ উল্লেখ করা দেখে বিস্মিত হন। পরে তিনি সার্ভার থেকে বিস্তারিত তথ্য ডাউনলোড করেন।’

নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডাউনলোড করা তথ্য অনুযায়ী, মসুদের জন্ম ১৯৮১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে মসুদের ‘স্ট্যাটাস’ মৃত উল্লেখ করা। ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর মসুদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মসুদ আরও বলেন, ‘মৌলভীবাজার থেকে গত বুধবার তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ‘জীবিত’, এই মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন। পরে গতকাল তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেন।’ কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলের কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগীর আবেদন হাতে পেলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn