রবার্তা ডেস্ক :: ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যায় ‘তৃতীয় পক্ষ’-এর কোনও জায়গা নেই বলে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তৃতীয় পক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করে নয়াদিল্লিস্থ চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেছে।আজ বুধবার চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকা নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে চাচ্ছে। সীমান্ত সমস্যা ভারত ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) থেকে সেনা সরাতে এবং স্থিতাবস্থা ফেরাতে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চলছে। নিজেদের মধ্যে ওই সমস্যা সঠিকভাবে মেটানোর ক্ষমতা রয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের। সেখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই। বেইজিংয়ের অভিযোগ, ভারতীয় উপমহাদেশে কর্তৃত্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে। চীনা দূতাবাসের বক্তব্য, উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে একে অন্যের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়ে তার ফায়দা তুলতে চাচ্ছে হোয়াইট হাউস। একে অন্যের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য জাহির করতে চচ্ছে।’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কখনও তৃতীয় পক্ষের স্বার্থে হওয়া উচিত নয় বলেও বিবৃতিতে মন্তব্য করেছে বেইজিং।

ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাত ও উত্তেজনার আবহে গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পারিক দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক প্রসারিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’ মাইক পম্পেও এসময়ে চীনের শাসক দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টি’রও তীব্র সমালোচনা করেন। এরপরেই আজ নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তৃতীয় পক্ষ’ অভিহিত করে পাল্টা সমালোচনা ও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।-পার্সটুডে

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn