ব্রহ্মাণ্ডে এলিয়েন-এর অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে প্রচুর। তাদের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে বিস্তর। এবার সেই গবেষণায় আরও এক ধাপ এগোল নাসা। বলা ভাল লাল গ্রহের মাটিতেই বোধহয় প্রাণের সন্ধান পেয়ে গেলেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি তাঁরা।মঙ্গল গ্রহ নিয়ে অনুসন্ধানের শেষ নেই। লাল গ্রহ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় সাফল্যও এসেছে। কিন্তু মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই গিয়েছে। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে দেখা মিলেছে একটি বাঁদর জাতীয় জন্তুর। সেই ছবিই লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে ফের জল্পনা উস্কে দিয়েছে।এমনিতেই মঙ্গল থেকে পাঠানো প্রতিটি ছবিকে ভাল করে বিশ্লেষণ করে নাসা। সম্প্রতি এমনই নাসার ‘মার্স কিউরিওসিটি রোভার’-এর পাঠানো ছবিতে, একটি জন্তুকে চার পায়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জন্তুটিকে একটি ‘হেয়ারি স্পাইডার-মানকি’-র সঙ্গে তুলনা করছেন। তাঁরা মনে করছেন জন্তুটি আসলে কোনও ভিনগ্রহের প্রাণী।

বিগত ছ’বছর ধরে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। নাসার পাঠানো মঙ্গলযান ইতিমধ্যেই লাল গ্রহের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে। এর মধ্যেই বহু অদ্ভুত জিনিস ধরা পড়ছে নাসার ক্যামেরায়। সম্প্রতি স্কট সি ওয়ারিং ‘ইউএফও সাইটিংস ডেইলি’-তে জানিয়েছেন, ওই ক্যামেরায় সম্প্রতি বাঁদর জাতীয় এক জন্তুর দেখা মিলেছে। যেটির উপরের দুটি হাতের তুলনায়, নিচের দুটি হাত ছোট। জন্তুটির মুখে আলো ফেললে চোখদুটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এতকিছুর পরেও সেটি আদৌ কোনও জন্তু বা ভিনগ্রহের প্রাণী কি না, তা সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না বৈজ্ঞানিকরা। তাঁরা ওই ছবিটিকে খতিয়ে দেখছেন। এর আগেও মঙ্গল গ্রহে বহু অদ্ভুত জিনিস চোখে পড়েছে বৈজ্ঞানিকদের। যেগুলির মধ্যে ১৯৭৬ সালে নাসার ভাইকিং অরবিটার্সে ধরা পড়া ‘ফেস অন মার্স’ ছিল উল্লেখযোগ্য। যদিও পরে জানা যায়, হাওয়ায় বালি উড়ে গিয়ে ওই ধরণের অবয়ব তৈরি হয়েছিল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn