‘মান কি বাত’  নামের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে হযরত মোহাম্মদ (স.) এর প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি মাসেই মোদি এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি বুদ্ধ পুর্ণিমা উপলক্ষে গৌতম বুদ্ধেরও প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। এবারের মান কি বাত অনুষ্ঠানেও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মোদি। তবে এবার তিনি প্রথমেই গুরুত্ব দিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমসে ভারতী অ্যাথলেটরা বিশেষ করে নারীদের অর্জনকে। ফিটনেসের ক্ষেত্রে তার আহ্বানে লোকজন যেভাবে সাড়া দিয়েছেন সে বিষয়টিও তুলে ধরেন মোদি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মোদি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। ৪ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় ২১তম কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হলো। ভারতসহ ৭১টি দেশ সেখানে অংশ গ্রহণ করেছে। সেখানে আমাদের দেশের অ্যাথলেটরা ভালো করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আর কিছুদিন পরেই রমজান মাস শুরু হবে। পুরো বিশ্বেই সম্মান আর শ্রদ্ধার সঙ্গে রমজান মাস পালন করা হয়ে থাকে। সামাজিক ও সমষ্টিগত দিক থেকে রোজা হচ্ছে এমনি একটি বিষয় যা একজন ব্যক্তিকে ক্ষুধার্ত থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে। রোজা রাখলে একজন মানুষ অন্যজনের ক্ষুধার্ত অবস্থা বুঝতে পারে। যখন সে তৃষ্ণার্ত থাকে তখন সে অন্যের তৃষ্ণার্ত অবস্থা উপলব্ধি করতে পারে। এটা হযরত মোহাম্মদ (স.) যে শিক্ষা দিয়েছেন তা স্মরণ করার একটি সুযোগ।

সমতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ যে নৈতিকতায় তিনি (মহানবী) জীবন যাপন করেছেন তা অনুসরণ করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, একবার এক ব্যক্তি মহানবীকে (স.) প্রশ্ন করেছিলেন, ইসলামের সবচেয়ে উত্তম জিনিস কি? তিনি এর উত্তরে বলেন, একজন দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্তকে খাওয়ানো এবং আপনি কাউকে চেনেন বা না চেনেন সবার সঙ্গে আন্তরিক থাকা। মহানবী (স.) দু’টি জিনিসের প্রতি বিশ্বাসী ছিলেন। একটি হলো জ্ঞান এবং অপরটি সমবেদনা। তার মধ্যে কখনও এক ফোঁটাও অহংবোধ দেখা যায়নি। তিনি প্রচার করতেন যে, জ্ঞান একাই মানুষের সব ধরনের অহংবোধকে পরাজিত করতে পারে। মহানবী (স.) বিশ্বাস করতে যে, কারো যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিছু থাকে তবে তার উচিত অভাবগ্রস্তদের মাঝে সেগুলো বিতরণ করা। তাই রমজান মাসে দান-খয়রাত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ এই পবিত্র মাসে উদারহস্তে দান করে থাকেন। তিনি বিশ্বাস করতেন বস্তুগত সম্পদ কখনোই মানুষকে সম্পদশালী বানাতে পারে না। বরং অভ্যন্তরীন জ্ঞানই মানুষকে সম্পদশালী করে। তিনি বলেন, আমি আশা করি এই পবিত্র মাসে সব মানুষ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহানবীর (স.) এই বার্তা অনুসরণ করবেন।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn