আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ পৌঁছে যাওয়া তুঙ্গে। সেই উত্তেজনা দেখা গেল মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে। যে ঘটনা ঘটল, সেটি বিতর্কিত। আর সে বিতর্কের জন্মটা দিলেন সাকিব। এমন ঘটনা অবশ্য তার ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। ঘটনা আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। মোহামেডানের বেঁধে দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুভাগত হোমের বোলিং তোপে তিন ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে তাকে ছয় মারেন আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, পরের বলেই চার। শেষ বলে অবশ্য মুশফিককে পরাস্ত করে তার প্যাড আঘাত হেনেছিল সাকিবের বল। কিন্তু লেগ বিফোরের জন্য সাকিবের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। আর তাতেই সাকিব লাথি মেরে ভেঙে ফেলেন বোলিং প্রান্তের স্টাম্প। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কও করেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর সতীর্থরা তাকে সরিয়ে নেন।

ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি নামলে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন খেলা বন্ধ করার। কিন্তু তা মানতে চাননি সাকিব। আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে করতে ক্ষোভ দেখিয়ে বোলিং প্রান্তের তিনটি স্টাম্প তুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন তিনি। রাগান্বিত ভঙ্গিতে তর্কও করতে থাকেন আম্পায়ারের সঙ্গে। সাকিবের এমন ক্ষোভের কারণ হতে পারে, ৬ ওভার পূর্ণ হতে আর বাকি ছিল মাত্র এক বল। ৬ ওভার পূর্ণ হলে ম্যাচ চলে আসতো বৃষ্টি আইনের অধীনে, সেক্ষেত্রে আর খেলা না হলেও ম্যাচে আসতো ফল। আবাহনী শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোয় বৃষ্টি আইনের অধীনে জেতার কথা মোহামেডানেরই।

কিন্তু ৫.৫ ওভারেই খেলা বন্ধ হওয়ায় আর খেলা না হলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। দলের সুবিধাজনক অবস্থান নষ্ট হওয়ায়ই ক্ষুদ্ধ হতে পারেন সাকিব, কেননা আম্পায়ারকে ইশারা করে তিনি বলছিলেন আর এক বলের কথা। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের তর্কের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুরের হয়ে খেলার সময় আম্পায়ার তানভির আহমেদ একটি আবেদনে সাড়া না দিলে তার দিকে তেড়ে যান সাকিব, তর্ক করেন। ম্যাচশেষে ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন, সাকিবের শাস্তি হবে কি না।

চলতি ডিপিএলে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সাকিব। তার অনুশীলনের সময় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে জৈব নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর ঢুকে পড়ে বলয়ের বাইরে থাকা একজন। সেই ঘটনায় অবশ্য সাকিব ও মোহামেডানকে কেবল নোটিশই দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিস ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আবাহনীর বিপক্ষে এই ম্যাচেই আসরে প্রথমবারের মতো ৩০ রান পেরোন সাকিব, আউট হন ৩৭ রানে। তার ৩৭ রানে ভর করে ১৪৫ রানের সংগ্রহ গড়ে মোহামেডান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn