সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী ওমর আহমদ মিয়াদ (২২) খুনের মামলায় চার ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীসহ ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।গত ২৮ মার্চ শাহপরাণ থানার উপপরির্দক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ সরকার গোপনে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। তবে বুধবার (৪ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানি হয়।মিয়াদ হত্যা মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, তোফায়েল আহমদ, নগরের উপশহর ডি ব্লকের জাকারিয়া মাহমুদ (২৭), টিলাগড়স্থ ভাঙাটিকর এলাকার রুহেল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জ নয়ানগর গ্রামের শওকত হাসান মানিক (২৬)। এছাড়া চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী, রাফিউল করিম মাসুম, বিয়ানীবাজারের উত্তর চক্রবাণী গ্রামের সারোয়ার হোসেন চৌধুরী, কোতোয়ালি থানার রায়নগর এলাকার জুবায়ের খান (২৬), ফেঞ্চুগঞ্জের শরীফগঞ্জ গ্রামের ফাহিম শাহ (২৭) এবং জকিগঞ্জের সেনাপতিরচক গ্রামের ফখরুল ইসলাম (৩৩)।
এদিকে মামলার বাদী নিহতের বাবা আকুল মিয়া পুলিশের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেন, এজাহারভুক্ত মামলার প্রধান আসামিসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছেন। আমি এই একপেশে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেব। মামলার পরবর্তী তারিখ ২৩ এপ্রিল তিনি এ নারাজি দাখিল করবেন বলে জানান। এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে একমাসের জামিনে থাকা মামলার অন্যতম আসামি জকিগঞ্জের সেনাপতির চক গ্রামের বাসিন্দা মুহিবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমদ (২২) গতকাল বুধবার (৪ এপ্রিল) সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়া এবং ওমর মিয়াদ হত্যা মামলার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে তোফায়েলকে অভিযুক্ত করায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
শাহপরাণ থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) সমীরণ দাস জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত ও ৬ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার্জশিট গ্রহণ নিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর নগরীর টিলাগড়ে আধিপত্যের জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ওমর আহমদ মিয়াদ। নিহত মিয়াদ বেসরকারি লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বালিচরি গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে। আলোচিত হত্যাকাণ্ডের একদিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ ওমর মিয়াদের বাবা আকুল মিয়া শাহপরাণ থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরীকে প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছিলেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn