প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও এখনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে, তা ভাবতে অবাক লাগে। এখনও প্রশ্ন জাগে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। এত রক্তের বিনিময়ে এবং এত কম সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সঠিক তথ্য প্রয়োজন। অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে এবং হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিচ্ছেন। স্বাধীনতার পর দেশে ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা কম সময়ের মধ্যেই দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল। এজন্য কি মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভিভিআইপি মর্যাদা দেয়া উচিত।

 শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারের ১০নং চত্বরে ২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, কেউ অপরাধ করে থাকলে তার বিচার হবেই। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একিউএম নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার জজকোর্টের পিপি এড. এএসএম আজাদুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর আব্দুল মুনিম তরফদার, মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিনহা প্রমুখ। এর আগে প্রধান বিচারপতির সম্মানে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধামাইল নৃত্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn