দীর্ঘদিন পর জেলা আ’লীগের কোন্দলের দিকে ফিরে তাকালো কেন্দ্রীয় আ’লীগ। জেলার কোন্দলের বেড়াজাল থেকে রক্ষা পাননি ক্ষোদ কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এতেই টনক নড়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগের। আর এজন্যই ১২মার্চ মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় আ’লীগের এক বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়।

সূত্র আরো জানায়, গত ৩ মার্চ আ’লীগের সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জেলা সফরকালে জেলা নেতৃবৃন্দে সাথে এক মতবিনিময় সভায় সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের আশির্বাদপোস্ট নেতাকর্মীর উপস্থিতি এবং প্রয়াত মন্ত্রী মহসিন আলী গ্রুপের উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে তাকে। এক পর্যায়ে সাবেক চীফ হুইপ ও প্রয়াত মহসীন আলী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সভার সমাপ্তি টানেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করলে ১২ মার্চ বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তলব করেন। এসময় মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের দীর্ঘদিনের কোন্দল-দলীয় মিটিং না হওয়া এবং সাবেক চীফ হুইপ আব্দুস শহীদের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হবে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এবং সাবেক চিফ হুইপ ও জেলা আ’লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে বিভক্ত আছে দলের নেতাকর্মীরা। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর মৃত্যুর পর জেলার আওয়ামী লীগে কোন্দল ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর কাউন্সিলে তৎকালীন চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ সভাপতি ও নেছার আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগে বিভক্তি দেখা দেয়। অর্ন্তদ্বন্দের কারণে ৯ বছরেও জেলার সকল নেতা এক টেবিলে বসতে পারেননি। বিভাজনের কারণে কাউন্সিলের পর দুইবছর সময় লাগে কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রেরণে। ২০০৮ সালে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করেন। উপাধ্যক্ষ শহীদ কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রেরণের পরপরই সৈয়দ মহসীন আলী বলয়ের নেতারাও আরেকটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠান। ২০১০ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রেরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন লাভ করে। কর্তৃক প্রেরিত মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn