উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর বৈধ ও অবৈধ উপায়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন হাজার হাজার মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকায় করে মহাসমুদ্র পাড়ি দেন অনেকে। তবে এ ব্যাপারে এবার কঠোর হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বুধবার (৮ মার্চ) দেশটির সংসদে একটি আইন উত্থাপন করেছেন। এতে অবৈধ উপায়ে যারা ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে বা যে কোনো উপায়ে যুক্তরাজ্যে ঢুকবেন তাদের বের করে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে।

এ আইন উত্থাপনের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে তিনি এর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আইনটি হলে নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে আর মানুষ আসবেন না। কারণ তারা জানবেন যে, অবৈধ পথে আসলেই বের হয়ে যেতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারীদের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বের করে দেওয়া হবে। 

কি আছে আইনে?

নতুন আইন অনুযায়ী, কেউ অবৈধ পথে যুক্তরাজ্যে আসলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাকে দেশ থেকে বের করে দেবে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সনদে যে মানবাধিকারের কথা বলা আছে সেটি রহিত করা হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিজ দেশ অথবা ‘তৃতীয় কোনো নিরাপদ’ দেশে পাঠানো হবে। যেমন আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা। আইনগত বিষয় এবং মানবাধিকারের বিষয়টি ওই তৃতীয় দেশে থাকা অবস্থায় শোনা হবে। অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে যাদের একবার বের করে দেওয়া হবে তারা আর কখনো যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ও নাগরিকত্ব পাবে না।

এদিকে যুক্তরাজ্যে এ আইনটি নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীনরা চাচ্ছেন, এর মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করতে। তবে বিরোধী দলগুলো বলেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর চড়াও না হয়ে যারা এ নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে তাদের কার্যক্রম বন্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn