আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান খান বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঐতিহাসিক সকল মামলার সাক্ষীদেরকে সরকার বিশেষ পরিচয়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা এই মামলায় সাক্ষী হয়েছেন তারা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের ভয়-ভীতিতে সন্ত্রস্থ না হয়ে ট্রাইব্যুনালের কাছে সাক্ষ্যদানের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সাক্ষীদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ঐতিহাসিক এসব মামলার সাক্ষীদের সবধরনের নিরাপত্তা দেবে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই উপজেলার পেরুয়া ভূমি অফিস মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭১ সনের ৬ ডিসেম্বর শ্যামারচর পেরুয়ায় সংঘটিত গণহত্যা তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩য় ধাপের তদন্তদকাজে তিনি গতকাল দিরাইয়ে আসেন। এ উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। উপজেলা যুবলীগ নেতা জ্যোতির্ময় দাসের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন ইকবাল, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সিলেট জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, হাজী নুরুল মোমেন, জেলা যুব কমান্ডের সভাপতি ওবায়দুর রহমান কুবাদ, দিরাই উপজেলা কমান্ডার আতাউর রহমান, শাল্লা উপজেলা কমান্ডার গৌরাঙ্গ দাস প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অমর চাঁদ দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হান্নান খান আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতি কলঙ্কমুক্ত হবেনা। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের সাক্ষীরা অনেকে বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছেন তারা যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান-সন্ততিদের ভয়ে সাক্ষী দিতে ভয় পান। আজ তাদের অভয় দিতেই আমি এলাকায় এসেছি। এসময় তিনি উপস্থিত জনতার কাছে এখানে সংগঠিত বর্বোরচিত গণহত্যার বিচার চান কিনা জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই সমস্বরে বিচারের দাবি জানান। মতবিনিময় শেষে তিনি গণহত্যাস্থল পরিদর্শন ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn