বার্তা ডেস্ক :: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৯ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কয়েক মাস থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী তাঁর এক পরিচিত যুবককে বাড়িতে আনতে শুরু করেন। প্রায়ই ওই যুবক গৃহবধূকে স্বামীর সামনেই যৌন হয়রানি করতেন। কিন্তু তাঁর স্বামী প্রতিবাদ করতেন না। উল্টো তাঁর স্বামী ওই যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রায়ই তাঁকে নির্যাতন করা হতো। পরে ওই যুবককে দিয়ে স্বামী তাঁকে ধর্ষণ করান। যুবকটি যখন ঘরে স্ত্রীকে ধর্ষণ করতেন, তখন স্বামী ঘরের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতেন। এভাবে একাধিকবার ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলা করলে পুলিশ শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে ওই স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযুক্ত যুবক এখনো পলাতক।

গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর ভাবিকে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে তাঁর ভাবির সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। তবে ওই যুবক পালিয়ে যান। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই যুবক তাঁর স্বামীর বন্ধু নয়। তবে তাঁর স্বামীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। স্বামীর সহযোগিতায় ওই যুবক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিলেন। ধর্ষণের সময় স্বামী ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার স্বামী এসব বিষয় স্বীকার করেছেন। স্ত্রীকে দিয়ে দেহব্যবসা করাতেই তিনি এ কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে স্বামীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হবে।-পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn