গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসপি মুহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এই চক্রের সাত থেকে দশটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের সদস্য সংখ্যা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন। ২০১৪ সাল থেকে তারা প্রতারণা করে আসছিল। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। চক্রটি কখনও কক্সবাজার, কখনও বরিশাল আবার কখনও চট্টগ্রাম কিংবা মাদারীপুর থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতো। এক প্রশ্নের জবাবে এসপি মুহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিশ্চয়ই দুর্নীতিগ্রস্ত। তা না হলে তারা প্রতারণার শিকার হতেন না। তাই তাদের বিষয়ে যদি দুদক চায় তারাও তদন্ত করতে পারেন কিংবা দুদক যদি র‍্যাবকে দায়িত্ব দেয় তাহলে তারাও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।

যেভাবে কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলত তারা:

র‍্যাব জানায়, ২০১৪ সালে মাদারিপুরের রাজৈর থানার এক প্রতারকের মাধ্যমে বাবুল এই চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করে। প্রথমে তারা বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ করে। এরপর কর্মকর্তা কর্মচারিদের টার্গেট করে। কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দফতরে না পেলে সরকারি টেলিফোন বই থেকে সংগ্রহ করে। এরপর তাদের ফোন করে দুর্নীতির মামলা দায়েরের ভয়-ভীতি দেখায় প্রকারক চক্র। এতে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ে তাদেরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতেন। এভাবেই তারা প্রায় ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। আর চক্রটির গ্রেফতার অপর সদস্য ইয়াসিন তালুকদার হাজারীবাগের একজন টেলিকম দোকানদার। সে সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে দিত। আটক বাবুলের কাছ থেকে ১৪টি বিকাশ অ্যাকাউন্ট করা সিম ও তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়। সে এসব সিম দিয়ে আট লাখ টাকা লেনদেন করেছে। অপরজন ইয়াসিনের কাছে ১২টি সিম ও ১৮টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এসময় তার একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকাও পাওয়া গেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn