শাল্লায় ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বাঁধের কাজ এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি বলে জানা গেছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সাধারণ কৃষকরা। জানা যায়, ৪নং শাল্লা ইউপির অন্তর্গত শ্রীহাইল গ্রামের জোয়ারিয়ার ৮শ’ মিটার বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি।গত বছর জোয়ারিয়া বাঁধ ভেঙ্গেই ফসল তলিয়ে গিয়েছিল। ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার ব্রিজ হতে মুক্তারপুর গ্রামের ব্রিজ পর্যন্ত বাঁধের কাজও শুরু হয়নি। যে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার। ৩নং বাহাড়া ইউপির হরিনগর গ্রামের ১শ’ ৬০ মিটার বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। যাত্রাপুরের বাঁধের কাজও শুরুই হয়নি। সদর ইউপির খল্লি গ্রাম থেকে মনুয়া গ্রামের মধ্যে প্রায় ১ কিঃমিঃ কাজও শুরু হয়নি। যে বাঁধগুলো হাওরের বোরো ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঠিকাদার কর্তৃক এসব বাঁধের কাজে নিয়োজিতটিটু তালুকদার বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক সপ্তাহের সময় নিয়েছি। ৪০ ভাগ কাজ করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত পাঁচ ভাগ কাজ হয়েছে। জোয়ারিয়া বাঁধে এখন কাজ চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো শুরু করিনি। তবে লেবার খোঁজা হচ্ছে।

গত ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসে উপজেলার ৩টি ইউপি চেয়ারম্যান, পাউবোর কর্মকর্তাবৃন্দসহ পিআইসি কমিটির সভাপতিগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ও হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ঠিকাদারদের এমন দায়িত্বহীন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, হাজার হাজার কৃষকের বেঁচে থাকার একমাত্র বোরো ফসল রক্ষার বাঁধ নিয়ে এমনছেলে খেলা মেনে নেওয়া যায় না। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ঠিকাদারদের এমন কান্ডজ্ঞানহীতায় ঠিকাদারদের জামানত বাজেয়াপ্ত করার পরামর্শ দেন পাউবোর কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে উপজেলার পিআইসি কমিটির ৩৬টি বাঁধের কাজও শেষ হয়নি। কোথাও ৪০ ভাগ কোথাও ২০ ভাগ কোথাও আবার ৯০ ভাগ কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আনন্দপুর গ্রামের দক্ষিণ দিকে কেল্লা ও মাদারিয়া খুড়ের খালের মধ্যভাগে মাটি ফেলা হয়নি। এলাকাবাসী বলছে এদিকে পানি ঢুকলে ছায়ার হাওর তলিয়ে যাবে। এব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাউবোর এসও ইব্রাহিম খলিলকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এব্যাপারে তার কোন বক্তব্য নেই বলেই স্থান ত্যাগ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn