ফয়সল আহমদ রুহেল:: শিক্ষা জীবনে সি এ পড়ার খরচ চালানো বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই সিএ পড়তে না পারায় অনেক কষ্ট ছিল। একটি স্টুডিওতে চাকুরী করেন। এক সময় ঢাকা থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে আসেন। বাড়ীতে এসে নিজ গ্রামের বাজারে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেননি। বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী  শিক্ষকতা পেশায় যোগদান দেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার টিলাগাঁও গ্রামের সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে যোগদান করে শিক্ষকতাকে জীবনের মহান ব্রত হিসাবে গ্রহণ করেন। অবশেষে এই প্রতিষ্ঠানে ৩৪ বৎসর ১০ মাস শিক্ষকতা শেষে অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

জন্ম : ১৯৫৯ ইং সনের ১৯ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আদর্শ শিক্ষকের পথিকৃৎ, পরম শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব সলিলেন্দু কুমার তালুকদার স্যার। পিতা মৃত সুরেশ রঞ্জন তালুকদার ও মাতা মৃত সুরবালা তালুকদার এর পাঁচ ছেলে ও এক কন্যার মধ্যে শিক্ষক সলিলেন্দু কুমার তালুকদার তৃতীয়। শিক্ষকের পিতার পেশা ছিল হোমিও ডাক্তার।

শিক্ষা জীবন : সলিলেন্দু কুমার তালুকদার এর প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি নিজ গ্রাম আনোয়ারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ে তিনি ১৯৬৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে পঞ্চম শ্রেনি পাশ করে ১৯৭০ সালে বিশ্বাম্বরপুর উপজেলাধীন মুরারী চাঁদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭০ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে ৭ম শ্রেণীতে প্রমোশন পান। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সবাই ভারতে আশ্রয় নেন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে ভারত থেকে গ্রামের বাড়ী ফিরে আসেন। ১৯৭২ সনে ৮ম শ্রেণীতে অটো প্রমোশন পান। কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে মানবিক শাখায় তৃতীয় বিভাগে পাশ করেন। ১৯৭৫ সালের আগষ্ট মাসে সুনামগঞ্জ কলেজে (তখন সরকারী ছিল না) এইচএসসিতে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হন। কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ১৯৭৭ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ থেকে আই.কম তৃতীয় বিভাগে পাশ করেন। ১৯৭৮ সালে সিলেট মদন মোহন কলেজে বি কম (স্নাতক) ভর্তি হন। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮০ সালের জুন মাসে বি, কম পাশ করেন।  ১৯৮১ সালের প্রথম দিকে ঢাকা চলে যান সিএ পড়ার উদ্দেশ্যে। ঢাকাতে সি এ পড়ার খরচ চালানো বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি বিধায় মীরপুর ১নং এ সিনেতান ফ্লিম স্টুডিও লি. এ হিসাব সহকারী পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। সিএ পড়া সম্ভব হয় নাই- বিধায় ১৯৮২ সনের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে আসেন। বাড়ীতে এসে নিজ গ্রামের বাজারে ব্যবসা শুরু করেন। এক বৎসর ব্যবসা করার পর উন্নতি করতে না পারায় মা বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে কুমিল্লা টিটি কলেজ থেকে বিএড উচ্চতর দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উত্তরা, ঢাকা তে এম এ ভর্তি হন। ইসলামের ইতিহাস বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এম এ পাশ করেন। সি জিপিএ ৩.৬১ ছিল।

শিক্ষকতা জীবন : শ্রদ্ধেয় সলিলেন্দু কুমার তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার টিলাগাঁও গ্রামে সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ০২/০১/১৯৮৪ সনে সহাকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক চলে যাওয়ার পর ৩১/১২/১৯৮৫ ইং তারিখ থেকে ৩০/০৩/১৯৮৯ ইং তারিখ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৩১/০৩/১৯৮৯ থেকে ৩০/০৯/১৯৯৩ পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ০১/১০/১৯৯৩ থেকে ৩১/১২/১৯৯৩ পর্যন্ত আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ০১/০১/১৯৯৪ থেকে ১৬/০৭/২০০৪ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তখন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল বি কম বি এড। ০১/০১/২০০৪ সালে কলেজ করার উদ্যোগ নেন। ২০/০৬/২০০৪ সালে কলেজ খোলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি লাভ করেন। ১৭/০৪/২০০৪ সাল থেকে ৩১/১০/২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ০১/১১/২০১৩ সাল থেকে অধ্যক্ষের পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে ১৮/১০/২০১৯ সালে অবসরে চলে যান। অবসরে যাওয়ার সময় বিদ্যালয় শাখায় ৭৯০ জন ছাত্রছাত্রী ও কলেজ শাখায় ৫৫০ জন ছাত্র ছাত্রী রেখে যান। ২০০৪ সালের ২০ শে জুন বিদ্যালয়টি সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১টি ডিগ্রী কলেজ ও ০৫টি স্কুল এন্ড কলেজ চালু ছিল। কিন্তু কোন কলেজেই বিজ্ঞান শাখা চালু ছিল না। সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ২০১৩ সালের জুন মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞান শাখা চালুর অনুমতি লাভ করে। ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে বিদ্যালয় শাখা এমপিওভূক্ত হয় এবং ২০১০ সালের মে মাসে কলেজ শাখা এমপিওভূক্ত হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সিলেট বোর্ড থেকে অনুমতি লাভ করে। ০২/০১/১৯৮৪ ইং সনে সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ১৮/১০/২০১৯ তারিখে সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ৩৪ বৎসর ১০ মাস।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান : ২০১৭ সালে সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৯৮ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে  নির্বাচিত হন সলিলেন্দু কুমার তালুকদার। দীর্ঘ ৩৫ বৎসরের শিক্ষকতা জীবনে দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মুহিবুর রহমান মানিক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রসংশনীয়। প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যর্থতার সংখ্যা কম সফলতার সংখ্যা বেশী।

দুর্ঘটনায় আহত :  সলিলেন্দু কুমার তালুকদার স্যার ২০০৬ সালের ২০ শে জুন বিকাল ৪.১০ মিনিটে স্কুল কলেজ ছুটি দিয়ে বাসায় ফেরার পথে বেবীটেক্সীতে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় ভারতে তিন বার চিকিৎসার জন্য যান। আজও সেই আঘাত তাঁক কষ্ট দিচ্ছে।

শিক্ষকতা জীবনের স্মরণীয় ঘটনা :  সলিলেন্দু কুমার তালুকদার স্যার এর শিক্ষকতা জীবনের স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে ছিল প্রথমত: যে দিন কলেজ খোলার অনুমতি পান। দ্বিতীয়ত: যে দিন কলেজ শাখা এমপিওভূক্ত হয়। তৃতীয়ত: শিক্ষকতা থেকে অবসরে যাওয়ার পর অর্থাৎ ২৬/১০/২০১৯ তারিখে ছাত্র, শিক্ষক, কমিটি এলাকাবাসী মিলে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংসদ সদস্য জনাব মুহিবুর রহমান মানিক উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সোনিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীর প্রতিক, সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান প্রমুখ।  প্রধান অতিথির বক্তব্যের এক পর্যায়ে মাননীয় সংসদ সদস্য তাঁর নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত মুহিবুর রহমান মানিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সলিলেন্দু কুমার তালুকদারকে প্রস্তাব করেন। মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করে ০২/১১/২০১৯ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান এবং অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ৮ম শ্রেনির স্বীকৃতি, নবম দশম শ্রেনিতে বিজ্ঞান শাখা সহ পাঠদানের অনুমতি ও পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তির তালিকায় আছে। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের নামে প্রতিষ্ঠানটি হওয়ায় দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। সলিলেন্দু কুমার তালুকদার স্যারের শিক্ষকতা জীবনের বড় প্রাপ্তি নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যাওয়ার পর বিদায়ী অনুষ্ঠানে জ্ঞানী গুণীজনদের উপস্থিতি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের জন্য যত শ্রম : সলিলেন্দু কুমার তালুকদার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রায় ৩৮ বৎসর।  শিক্ষকতা জীবনে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শ্রম, মেধা অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। ১নং  নিজ প্রতিষ্ঠান সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। ২নং ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ। ৩নং মুহিবুর রহমান মানিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দোয়ারাবাজার সদর যে প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত তিনি আছেন।

পারিবারিক : গুণী শিক্ষক সলিলেন্দু কুমার তালুকদার পারিবারিক জীবনে দুই মেয়ের জনক। তাঁর কোন ছেলে সন্তান নাই। বড় মেয়ে ইংরেজীতে অনার্স মাস্টার্স, এমসি কলেজ, সিলেট এবং ছোট মেয়ে গণিতে অনার্স ৩য় বর্ষ, এম সি কলেজ, সিলেট। ২০২৩ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দোয়ারাবাজার উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।

উল্লেখ্য, ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এই পেশায় নিয়োজিত থেকে সততা ও নিষ্ঠার পথে চলে বর্ণাঢ্য জীবনযাপনের সুযোগ ছিল না। ৩৮ বৎসরের শিক্ষকতা জীবনে সলিলেন্দু কুমার তালুকদার এর উপর কোন প্রকার অভিযোগ নেই। সৎ পথে থেকে সহজ সরল জীবনযাপন অতিবাহিত করেছেন। তিনি জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিদের বাণী অনুসরন আজও করেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn