ফয়সল আহমদ রুহেলআলহাজ্ব মো. ফজলুল হক। ১৯৭১ ইং সনে পাক বাহিনীর অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের একজন সংগঠক। ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি। তাঁর দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটান। তিনি অসংখ্য শিক্ষার্থীর ভেতর নিজের আদর্শ প্রভাবিত করেন, মানুষ হওয়ার সঠিক পথ দেখিয়েছেন। যার ফলে তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রী বর্তমানে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার মইনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

জন্ম : আলহাজ্ব ফজলুল হক ১৯৫১ ইং সনে ৩০ শে জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মো. গোলাম হোসেন, মাতা মরহুমা সাহেরা খাতুন। তাঁর পিতা ছিলেন দাদার একমাত্র সন্তান। ক্ষেত খামার দেখাশুনা ছিল পেশা। মাতা গৃহিনী। পিতা খুবই ধর্মপ্রাণ ছিলেন। যার ফলে এলাকাতে ‘সুফি সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন। আলহাজ্ব ফজলুল হক তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই আলহাজ্ব মো. নুরুল ইসলাম। বোন আছিয়া বেগম গৃহিনী। ছোট ভাই আলহাজ¦ মো. আনোয়ারুল হক, অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্য। 

শিক্ষা :আলহাজ্ব ফজলুল হক ১৯৬৩ ইং সনে মিশ্রিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৯ ইং সনে আঠারবাড়ী এম,সি হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭২ ইং সনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত গুরুদয়াল কলেজ থেকে বাণিজ্য শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। উক্ত কলেজের নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৭৪ ইং চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে স্নাতক বাণিজ্য শাখায় তৃতীয় বিভাগে পাশ করেন। ১৯৭৬-৭৭ শিক্ষাবর্ষে ময়মনসিংহ জেলা শহরে অবস্থিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএড চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ১৯৭৮-১৯৭৯ শিক্ষাবর্ষে একই প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় হতে এম,এ,ইন এডুকেশন কোর্সে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।

কর্মজীবন : আলহাজ্ব ফজলুল হক ১৯৭৫ ইং সনের জানুয়ারি হতে ১৯৭৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত নিজ গ্রামে বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বছর ছয় মাস সরকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮০ ইং সনে ৫ মে তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ছাতক উপজেলাধীন মইনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ৬০ বৎসর বয়সে অবসরে যাওয়া সরকারি বিধান থাকায়  ২০১৩ ইং সনের ১৩ মার্চ সর্বমোট ৩২ বৎসর ১০ মাস ৮ দিন মঈনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অতিদক্ষতা ও সুনামের সাথে পালন করে অবসর গ্রহণ করেন। সর্বমোট শিক্ষকতা জীবন ৩৪ বৎসর ৪ মাস ৮দিন। তিনি ১৯১৭ ইং সনে পবিত্র হজ্ব পালনে সৌদি আরব ভ্রমন করেন।

বাল্যকাল : আলহাজ্ব ফজলুল হক ১৯৫৮ ইং সনে জানুয়ারি মাসে নিজ বাড়ী হতে ১/২ কিলোমিটার দূরে মিশ্রিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন। বিদ্যালয়টি ১৯০৭ ইং সনে মাইনর বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পঞ্চম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় পাশ করার পর ১৯৬৪ ইং সনে নিজ বাড়ি হতে ৭ কিলোমিটার উত্তর দিকে আঠারবাড়ী এম,সি হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। বিদ্যালয়টি ১৯২১ ইং সনে আঠাবাড়ী জমিদার মহিম চন্দ্র রায় তাঁর নাম অনুসারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পর ১৯৬৯-১৯৭০ শিক্ষাবর্ষে নিজ বাড়ি হতে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত গুরুদয়াল কলেজে একাদশ শ্রেণীতে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হন। উল্লেখ্য, গুরুদয়াল কলেজটি ১৯৪৯ ইং সনে প্রতিষ্ঠা করেন ভাটি অঞ্চলের ধনাঢ্য ব্যক্তি গুরুদয়াল সরকার। তার নাম অনুসারে কলেজের নামকরণ করা হয় গুরুদয়াল মহাবিদ্যালয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর কোর্স সমাপ্তির পর ১৯৭১ ইং সনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক বাহিনীর অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেননি। কারন তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের একজন সংগঠক। কিন্তু ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি।

বিদ্যালয়ের জন্য যত অবদান : শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আলহাজ্ব ফজলুল হক ছাতক উপজেলাধীন মইনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পূর্বে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দ্বারা প্রশাসনিক কার্যক্রমে শিক্ষার পরিবেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানের জন্য কোন শিক্ষক ছিল না। বিদ্যালয়ে নেমে আসে এক বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। অনেক চেষ্টার পর নিজ উপজেলা নান্দাইল হতে একজন গণিত, একজন জীববিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও সহকর্মীগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল উত্তর উত্তর সন্তোষজনক হতে থাকে। পরীক্ষার ফলাফল ৭০%, ৮০%, ৯০% ১০০% যাহা বোর্ডের শতকরা পাশের হারের চেয়ে অধিক। ফলাফল সন্তোষজনক হওয়াতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ষষ্ঠ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উক্ত শ্রেণী সমূহে শাখার অনুমোদন লাভ করে। ১৯৯৩ ইং সনে এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র মোস্তাক আহমেদ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিধান অনুসারে শিক্ষা বোর্ডে মেধা স্থান অধিকারী ছাত্রছাত্রীদের ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতি ছাত্রসহ তিনি যোগদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া খেলাধূলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক অর্জন করে। ১৯৯৮ ইং সনে তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন এবং বিদ্যালয়টি সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়। পর পর তিন মেয়াদে ছাতক উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিদ্যালয়ে গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যার্থে মদনপুর শিক্ষা ট্রাস্ট নামে একটি শিক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদাধিকার বলে উক্ত শিক্ষা ট্রাস্টের সদস্য সচিব। উক্ত ট্রাস্টের কল্যাণে বিদ্যালয়ের আর্থিক দৈন্যদশার জন্য ছাত্রছাত্রী ঝড়ে পড়া রোধ হয়। বিদ্যালয়টি সীমানা প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত। বিদ্যালয়ের সকল গৃহই পাকা। তাঁর সময়কালে বিদ্যালয়ে নিজস্ব অর্থায়নে আধাপাকা প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, চারজন শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা উপযোগ্য পাকা বাসস্থান নির্মাণ করেন। বিদ্যালয়ে আলাদা বিজ্ঞানাগারে ও কম্পিউটার ল্যাবসহ একটি আসবাবপত্র সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার বিদ্যমান। আলহাজ্ব ফজলুল হক স্যারের সময়কালে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৮ শতাধিক ছিল। তখন এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ১০১ জন এবং কৃতকার্য হয় ১০০ জন। এলাকার সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে ১৯৯০ সালে জনতা মহাবিদ্যালয় নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে কলেজটির স্নাতক পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে এবং ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৫০০ জন। ২০১০ ইং সালে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার সুবিধার্থে মইনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট কর্তৃক অনুমোদন প্রদান করে।

পারিবারিক : আলহাজ্ব ফজলুল হক ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক। সহধর্মিনী মোছা. উম্মে কুলসুম গৃহিনী। প্রথম কন্যা সন্তান মোছা. রওশন জাহান- বিএসসি (সম্মান) এমএসসি (রসায়ন), সহকারী শিক্ষক নেত্রকোনা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। জামাতা সাহিজুল ইসলাম শাহীন-বিএসসি (সম্মান) এমএসসি (গণিত), সহকারী অধ্যাপক (বিসিএস) নেত্রকোনা সরকারি কলেজ। দ্বিতীয় কন্যা ডা. সুলতানা জাহান- ডি,বি,এম, এস,এস মাইক্রো বায়োলজী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বিসিএস) প্রাণী সম্পদ, বিভাগ। জামাতা আব্দুল্লাহ করিম নয়ন- বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এমবিএ, বিশেষ ইঞ্জিনিয়ার বাংলালিংক, ঢাকা। পুত্র এনামুল হক টিটু বিএ (সম্মান) এমএ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পুত্রবধূ মামহুবা জিনিয়া লিমা- বিএসসি (সম্মান) এমএসসি গণিত।

২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাতক উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।

উল্লেখ্য, ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।

শ্রদ্ধেয় আলহাজ্ব ফজলুল হক ৩৪ বৎসর শিক্ষকতা জীবনে সত্যের জন্য আজীবন লড়েছেন। ন্যায়ের পথে থেকেছেন। সত্য ও সুন্দরের চর্চা করেছেন। আদর্শ শিক্ষক ফজলুল হক শিক্ষার্থীর জন্য ছিলেন সর্বদাই আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি শিক্ষার্থীদের ভেতরের সত্ত্বাকে জাগিয়ে তুলেন। শিক্ষার্থীদের হৃদয় জয় করা এই গুণী শিক্ষক বর্তমানে গ্রামের বাড়ী নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি গ্রামে অবসর জীবনযাপন করছেন। আমরা এ গুণী মানুষটির সুস্বাস্থ্য কামনা করি।  

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn