গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কারসাজিতে নন-এমপিও ৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ৩৪ জন শিক্ষক কোভিড-১৯ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রণোদনা বঞ্চিত শিক্ষকদের মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। এসময় চরম হতাশা প্রকাশ করেন তারা। জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৪৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার তথ্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরপর কোভিড-১৯ মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের তথ্যাদি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।

এসময় ওই ৪৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জমা দেয়া হয়। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মনিরুল হাসান নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য উল্লেখিত মাদরাসা হতে ৮টি মাদরাসার শিক্ষকদের তালিকা হতে বাদ দিয়ে অন্য ৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের প্রণোদনার অর্থ প্রদানের পায়তারা করছে। এতে চরম দুশ্চিন্তিত রয়েছে প্রণোদনা বঞ্চিত ৩৪ জন শিক্ষক। দামোদরপুর ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া নুরু মুন্সী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রাণোদনা বঞ্চিত মাদরাসাগুলোর মধ্যে আমার মাদরাসাও রয়েছে। বিষয়টি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মনিরুল হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ বলেন, প্রণোদনা বঞ্চিত শিক্ষদের তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কারণ জানতে চেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পত্র দেয়া হয়েছে। পত্রের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।-পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn