দোয়ারাবাজার::দোয়ারাবাজার উপজেলায় নানার হাতে দুই বছরের নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় লোকজন ও শিশুর পরিবার শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ করে। এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় লোকজন ধর্ষক ইউসুফ আলীকে (৫০) আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছে। শুক্রবার বিকেল তিনটায় উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটি অভিযুক্ত ইউসুফ আলীর আপন ভাগনের মেয়ে। স্থানীয় লোকজন ও শিশুর পরিবার জানায়, শিশুটি ও তার ভাই প্রতিবেশী নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল। তার ভাই চলে আসার পর বসতঘরে দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইউসুফ আলী। চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে গেলে ইউসুফ আলী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় পান তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজন ইউসুফ আলীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়। নির্যাতিতা শিশুটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা আমাকে খবর দিলে আমি গিয়ে দেখি আমার মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছে। তার গায়ে রক্ত লাগানো। বিকেল তিনটার দিকে ইউসুফ আলীকে গাছের সাথে বেঁধে রাখার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে তদের জিম্মায় নিয়ে আসে।

এ ব্যপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. নাজির আলম জানান- প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ব্যপারে শিশুটির মা মামলা বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন- ইউসুফ আলী দ্বিতীয় বিবাহিত হলেও প্রথম স্ত্রী নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে বসবাস করেন। কথা বলে বুঝা গেছে একটু সহজ-সরল প্রকৃতির লোক এবং কম কথা বলে। তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বলেছে- সে শিশুটিকে কাতুকুতু দিয়েছে। তবে ধর্ষণ না ধর্ষণ চেষ্টা তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝা যাবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn