সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিশেষ করে সুনামগঞ্জ শহরতলির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেড়েছে। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে উত্তেজনাও আছে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগও ওঠেছে। শহরতলির গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. শওকত আলী মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী’র বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।

শওকত আলী জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগদান করেছেন। ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেছেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগদান করেন নি। তিনি ইউনিয়নের বেরাজালী ও টুকের বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবর্ধনা সভায় এসেছিলেন।

ছালমা আক্তার চৌধুরী বললেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শওকত আলী, তিনি প্রতিদিন মোটর সাইকেল শো-ডাউন ও ট্রাকে মিছিল করছেন ইউনিয়ন জুড়ে। তার দাবি নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছেন জাপার শওকত আলী ও আরেক বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম। এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ফুল মিয়া ইউনিয়নের সাক্তারপাড়, সোনাপুর বেদেপল্লী ও বড়ঘাট এলাকায় তাকে প্রচার চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শহরতলির মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার ভোটারদের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. নুরুল হক হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। নুরুল হক ও তার ভাই শামীম আহমদের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা বিতরণেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আব্দুস সালাম নুরুল হকের বিরুদ্ধে পোস্টার ছেড়ারও অভিযোগ তুলেছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক টাকা বিতরণের অভিযোগকে মনগড়া ও মিথ্যা উল্লেখ করে বলেছেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম তার এলাকায় অন্য প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের যেতেই দেন না, গেলে সমর্থকদের দিয়ে ধাওয়া করান। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেছেন, কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সুনির্দিষ্ট লিখিত করতে হবে। কোন সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচরণায় অংশ নেবার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন লিখিত অভিযোগও পাওয়া যায় নি। লিখিত অভিযোগ যা পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৮ নভেম্বর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নয় ইউনিয়নে ভোট। চেয়ারম্যান পদে ৬৩, সংরক্ষিত নারী আসনে ১১৬ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৯৯ জন প্রার্থী হয়েছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn